ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে একটি মহল জনগণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে: এমপি তালুকদার

396

॥ মঈন উদ্দীন বাপ্পী ॥

আসন্ন ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে একটি মহল জনগণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য হলো য়ড়যন্ত্রের মাধ্যমে পাহাড়ের মানুষকে নেতৃত্বশূণ্য করা। জনগণের আস্থার মানুষ এবং জনপ্রিয় নেতারা যাতে নির্বাচিত হতে না পারে সেই নীল নক্সার অংশ হিসেবেই সন্ত্রাসীরা নির্বাচন সামনে রেখে পাহাড়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কাপ্তাইয়ে আ’লীগ নেতা ও ইউপি নির্বাচন প্রার্থীকে হত্যার ঘটনা এই চেষ্টারই অংশ। এমন মন্তব্য করে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ানো এই চক্রটি আমাদের শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। এদের ব্যপারে জনগণকে সজাগ থাকতে হবে।

সোমবার (১৮অক্টোবর) সকালে রাঙামাটি জেলা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বেসরকারি বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, নন এমপিওভুক্ত শিক্ষক, কর্মচারীদের মাঝে করোনাকালীন সহায়তা প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এমপি এ সময় শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন শিক্ষার্থীদের আপনারা মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিন মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভ’লে তারা যেন সম্প্রীতির পরিবেশ গড়ার কাজে নিজেদের উৎসর্গ করতে পারে সেই মানসিকতা তৈরি শিক্ষা দিন।

এমপি দীপংকর আরও বলেন, সামনে ইউপি নির্বাচন। যারা সাধারণ জণগণের আস্থা অর্জন করেছেন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাদের হত্যা করছে। সন্ত্রাসীদের গুলিতে আমাদের দলের নেতা নেথোয়াই মারমা নিহত হয়েছেন। আজ ভীষন্ন তাদের পরিবার। দেশে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি মন্দিরে আগুন দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। কিন্তু আর না; ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র এইবার রুখে দেওয়া হবে।

বেসরকারি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে এমপি বলেন, লংগদু উপজেলায় স্থানীয় আ.লীগের নেতাদের অনুরোধে ১৩৫জন বেসরকারি শিক্ষক-কে করোনাকালীন সহায়তা করেছি। তখন ভাবলাম জেলায় আরও বেসরকারি শিক্ষক রয়েছে। তাই তাদের সহায়তা করতে এই আয়োজন।

এমপি দীপংকর শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারা শিক্ষার্থীদের অসাম্প্রদায়িক চেতনার শিক্ষা প্রদান করুন। কারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কথাগুলো শুনে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুসলিম-হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রীষ্ট্রান সকলে মিলেমিশে এদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছেন। তাই বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ । এমপি বলেন, দেশের একহাজার স্কুল জাতীয়করণ করা হবে। তাই চেষ্টা করা হবে এ জেলার যে স্কুলগুলো নন এমপিও ভুক্ত রয়েছে সেগুলোকে এ প্রকল্পের আওতায় আনার জন্য।

অনুষ্ঠানে ১৫১টি বেসরকারি স্কুলের ৯৮৪জন শিক্ষক, কর্মচারীকে করোনাকালীন সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৪৯লাখ ২০হাজার টাকা এবং দুস্থ ১৬জন শিক্ষক-কে জনপ্রতি ১০হাজার টাকা করে সর্বমোট এক লাখ ৬০হাজার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছাড়াও বক্তৃতা করেন- রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য হাজী মুছা মাতাব্বর, জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলার গীতাপড়া বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক উচিংমং মারমা, কাউখালী উপজেলার রাঙ্গিপাড়া এলাকার মহিউম সুন্নাহ মাদ্রাসা ও এতিমখানা’র শিক্ষক মো. আনোয়ার মুহতামিম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা সদস্য প্রবর্তক চাকমা। অনুষ্ঠানের শুরতে শেখ রাসেল এর ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। এসময় জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সবির কুমার চাকমা, বাদল চন্দ্র দে, বিপুল ত্রিপুরাসহ শিক্ষক পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।