ইক্ষু-সাথী ফসল ও গুড় উৎপাদনের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার

270

॥ ইকবাল হোসেন ॥

পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থ-সামজিক উন্নয়নে ইক্ষু, সাথী ফসল, গুড় উৎপাদনের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন “পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদারকরণ প্রকল্পে’র উদ্যোগে বোর্ডের কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।

উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য বাস্তবায়ন ও প্রকল্প পরিচালক হারুন-অর রশিদের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী, সদস্য প্রশাসন ইফতেখার আহমেদ, সদস্য-পরিকল্পনা মোঃ জসীম উদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙামাটির উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদারকরণ প্রকল্পে’র কনসালটেন্ট ধনেশ্বর তঞ্চঙ্গ্যা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে ইক্ষু চাষের সম্ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্য নিখিল কুমার চাকমা বলেন- অতীতে উন্নয়ন বোর্ড কৃষকদের নিয়ে যে সব প্রকল্পই হাতে নিয়েছে তা ফলপ্রসু হয়েছে। আমি আশাকরি “পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদারকরণ প্রকল্প কৃষক ও পার্বত্য এলাকার ইক্ষু চাষে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরো বলেন- আমি জেলাৈ পরিষদে চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ক্ষুদ্র পরিসরে ইক্ষু চাষে প্রকল্প গ্রহণ করেছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ায় আজ ৩ পার্বত্য জেলায় ইক্ষু চাষ নিয়ে কাজ করার সুযোগ হয়েছে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে যাতে কোন কৃষক হয়রানী বা দীর্য়সূত্রিতার না হয়ে বরং লাভবান হয় সংশ্লিষ্টদের সে বিষয়ে যতœবান থাকা নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান।