ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বড় রদবদল: দেশ জুড়ে আলোচনা, আতঙ্কে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

877

স্টাফ রিপোর্ট- ৬ জানুয়ারী ২০১৭, দৈনিক রাঙামাটি: দেশ জুড়ে এখন আলোচনার বিষয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শীর্ষ পদগুলোতে রদবদলের ঘটনা। এখন ব্যাংটির ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ সুদৃঢ় হলো বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক প্রকার আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন।

গত ৪ জানুয়রী বুধবার ব্যাংকটির বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের সভায় আরাস্তু খানকে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান পদত্যাগ করেছেন বলে জানানো হয়। তার জায়গায় নতুন ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে আবদুল হামিদ মিয়ার নাম প্রস্তাব করা হয়।

ইসলামী ব্যাংকে বরাবরই মুলত: জামায়াতে ইসলামীর একটা প্রভাব ছিল বলে মনে করা হয়। যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকটির বিরুদ্দে এমন অভিযোগ তোলা হয়। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ জোর গলায় অস্বীকার করেন।

ইসলামী ব্যাংকে বড় বড় পদে হঠাৎ করে পদত্যাগের পর সেসব পদে পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন লোক বসানো হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসব পরিবর্তনের কোন যুক্তি খঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়ে গেলেন, তিনি পদত্যাগ করলেন। ভাইস চেয়ারম্যান পরিবর্তন হলেন, তিনিও পদত্যাগ করলেন। এমডিও পদত্যাগ করলেন। এবং সম্পূর্ণ নতুন এক ব্যক্তি, যিনি মাত্র কদিন আগে বোর্ডে যোগ দিয়েছেন, তিনি চেয়ারম্যান হলেন। এ সবের কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না। এর পেছনে সৎ উদ্দেশ্য আছে বলে মনে হয় না। অবশ্যই এর পেছনে কোন না কোন রাজনীতি আছে বলে বোদ্ধ্যাজনরা মনে করছেন। ব্যাংকের এসব পরিবর্তনের পেছনে সরকারের কোন ভূমিকা থাকার কথা সরকারী মহল মনে করে না।

বাংলাদেশে সরকারী-বেসরকারী সব ব্যাংকের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকই এখন সবচেয়ে বড় ব্যাংক। মুনাফার দিক থেকেও ব্যাংকটির অবস্থান শীর্ষে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে এটিকে বাংলাদেশের সেরা ব্যাংকের পুরস্কার দেয় লন্ডনের ফিনান্সিয়াল টাইমসের ব্যাংকার ম্যাগাজিন। এখন দেখার বিষয় ব্যাংকটির পূর্বের ঐতিহ্য ঠিক থাকে কি না।

পোস্ট করেন- শামীমুল আহছান, ঢাকা ব্যুরো অফিস।