॥ রামু প্রতিনিধি ॥ কক্সবাজারের রামুতে উপজাতি তরুণী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী ছাত্রী হ্লা নু প্রু চাকের অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় মামলার অগ্রগতি হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার প্রেক্ষিতে দৃশ্যত ন্যায় বিচার পাচেছন বলে তরুণীর বাবা ক্যাউচিং চাক জানান।
রোববার ও সোমবার দুই দিনে স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগীতায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার মামলার অন্যতম আসামী পূর্ব মেরংলোয়া গ্রামের কবির আহমেদের ছেলে মোঃ আরিফ (২৮) ও তার স্ত্রী রাজিয়া আক্তার (২২) কে আটক করে পুলিশ। এর আগে শনিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রামুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলমের সহযোগীতায় উপজেলা পরিষদ এলাকা থেকে ঘটনার মুল হোতা সিএনজি চালক মিজানুর রহমান (২৭)কে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ওই তরুণীর পরীক্ষার সনদপত্র ও ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
আহত হ্লা নু প্রু চাকের বাবা ক্যাউচিং চাক জানান তার মেয়ের ঘটনার জন্য সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল ও রামুর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলমসহ সবার সহযোগীতা পেয়েছি। পাশাপাশি মেয়ে হ্লা নু প্রু চাকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি সন্তোষজনক এবং এ ঘটনার মামলার দৃশ্যমান অগ্রগতিতে তিনি সšুÍষ্ট হয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আবুল খায়ের জানান, এঘটনায় জড়িত তিন আসামী কে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে যদি আর কেউ ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে তাদেরও আটক করা হবে। উপজাতি তরুণী হ্লা নু প্রু চাক ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য যে, ২৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে রামুর মেরংলোয়ায় চলন্ত অবস্থায় অটোরিকশা থেকে লাফিয়ে পড়ে অপহরণকারী চক্রের কবল থেকে নিজেকে রক্ষা করেছিলেন উপজাতি তরুণী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী ছাত্রী হ্লা নু প্রু চাক (১৮)। এতে আহত হন ওই তরুণী। সেসময় সিএনজি চালক তার স্কুল কলেজ সনদসহ ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।