একুশে পদকের জন্য সাংবাদিক মকছুদ আহমেদের নাম প্রস্তাব করলেন ডিসি

313

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
পাহাড়ে সংবাদিকতার পথিকৃৎ দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে সাংবাদিকতায় ২০২১ সালে একুশে পদক প্রদানের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠিয়েছে রাঙামাটি জেলার ডিসি। একুশে পদকের জন্য মকছুদ আহমেদের সকল তথ্য ইতোমধ্যে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদের হাতে তুলে দেয়া হলে জেলা প্রশাসক স্বাক্ষর করে ১৫ অক্টোবর সাংস্কতিক মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করেছে।

সূত্রমতে একুশে পদক পাওয়ার জন্য পাহাড়ের চারণ সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক সকল যোগ্যতা অর্জন করেছেন। ইতোমধ্যে পাহাড়ের সংবাদপত্রের জনক, চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতার ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন। স্বাধীনতার আগে ১৯৬৯ সালের নভেম্বর মাসেই তিনি দৈনিক আজাদী পত্রিকার মাধ্যমে তার সাংবাদিকতা শুরু করেন। দীর্ঘ ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে, অনেকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, শতশত মৃত্যুর হুমকীকে তোয়াক্কা না করে এগিয়ে গেছেন পাহাড়ের মানুষের অভাব অভিযোগ তুলে ধরতে। পায়ে হেটে হেটে এই পাহাড় থেকে ঐ পাহাড়ে ছুটে ছুটে পাহাড়ের মানুষের কথা দেশবাসীকে জানিয়েছেন। এই মহান সাংবাদিকের পেশাকে তিনি নিজের করে নিয়ে কে একে প্রকাশ করেছেন সাপ্তাহিক বনভূমি ও পার্বত্য অঞ্চলের সর্বপ্রথমক দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পণ।

সংবাদপত্র জগতে তিনি পার্বত্য তিন জেলা, চট্টগ্রাম, সহ বিভিন্ন অঞ্চলের অসংখ্য বেকার যুবককে দৈনিক গিরিদর্পন ও সাপ্তাহিক বনভ’মির মাধ্যমে সাংবাদিক বানিয়েছেন। অনেকে জন আজ স্বীকার করলেও অনেকে আজ বড় বড় পত্রিকার মালিক হয়ে এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে চিনেন না এবং পত্রিকার মালিক হয়ে এই চারণ সাংবাদিকের সাথে প্রতিযোগিতা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ তার সাংবাদিকতা জীবনে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের অভাব অভিযোগ গুলো যেমন তুলে ধরেছেন তেমনি অসংখ্য অসহায় মানুষের তিনি সুখে দুঃখে পাশে দাড়িয়েছেন। অসংখ্য শিক্ষার্থীকে তিনি বই সহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া চাকুরী দিয়েছেন বেশ কিছু শিক্ষিত বেকার যুবককে।

তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম রাঙ্গাামাটি, কাউখালীর কলমপতি, লংগদু, রামগড় এবং চট্টগ্রামের মীরসরাই, ও রাঙ্গুনিয়া, ফেনী, কুমিল্লার অন্তত পক্ষে দেড় হাজারেরও অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে নিয়োগ প্রদানে সহযোগিতা করে তাদের পরিবারের ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করেছেন এদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে চাকুরীরত আছেন এবং অনেকেই অবসর গ্রহণ করে সুন্দর জীবন যাপন করছেন।

তার সাংবাদিকতার দীর্ঘ ৫০ বছর পূর্তির এই দিনে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাব, রাঙামাটি সাংবাদিক ফোরাম সহ রাঙ্গামাটির বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সামাজিক সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।