ঐতিহাসিক ৭মার্চ উপলক্ষ্যে কাউখালীতে জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে “জয় বাংলা” চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

283
স্টাফ রিপোর্টার 
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ উপলক্ষ্যে পার্বত্য রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলায় শিশু কিশোরদের নিয়ে “জয় বাংলা” শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কাউখালী উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার অর্ধ শতাধিক প্রতিযোগী এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেছে।
১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আহুত এক ছাত্র সভায় তৎকালীন জিন্নাহ হলের ছাত্র আফতাব আহমেদ সর্বপ্রথম জয় বাংলা বলেন। এরপর ১৯৭০ সালের জানুয়ারি মাসে পল্টনে আওয়ামী লীগের এক জনসভার মঞ্চের ব্যানারে জয় বাংলা লেখা ছিলো। সে সময় মঞ্চে উঠে সিরাজুল আলম খান কয়েকবার জয় বাংলা বলেন। এভাবে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন সময় ছাত্ররা এটি ব্যবহার করতে থাকে। ১৯৭০ সালের ৭ জুন এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম এটি ব্যবহার করেন। তিনি জয় বাংলা বলে বক্তব্য শেষ করেন।
২রা মার্চ ২০২২ বুধবার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ‘জয় বাংলা’ কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় এবারো Jibon”জীবন” আয়োজন করেছে ‘জয় বাংলা’ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এবছর রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলায় “জয় বাংলা” শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শিশু-কিশোরদের রঙে সজীব হয়ে উঠেছে জয় বাংলার সেই ঐতিহাসিক উচ্চারণ।
প্রতিযোগিতার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলো জীবন কাউখালী চ্যাপটার। সকাল ১১ ঘটিকা থেকে কাউখালী কেন্দ্রিয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতার ফলাফল ১৭ মার্চ সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হবে। এছাড়াও ২৬শে মার্চ বিজয়ীদের মাঝে সনদপত্র ও পুরস্কার প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জীবন এর প্রতিষ্ঠাতা সাজিদ-বিন-জাহিদ (মিকি), দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক মোহাম্মদ মনির গাজী, কার্যকরী সদস্য জেবিন ইকবাল অর্পা, নাজমা আক্তার, মীম হক সহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এসময় জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের কাউখালী চ্যাপটারের সমন্বয়ক নুরুল হুদা নাহিদ, দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক উমং সাইন মারমা, কার্যকরী সদস্য বিবি কুলসুমা, সেজুতি চাকমা, উম্মে হাবিবা ও অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।