ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ঘিরে রাঙামাটি প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

378

॥ স্টাফ রিপের্টার ॥
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ দেওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণটি বিগত আড়াই হাজার বছরের মধ্যে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণের মর্যাদা পেয়েছে। এই ভাষণের সূত্র ধরেই নিরস্ত্র বাঙালি জাতি মুক্তির জন্য সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। রাঙামাটি প্রেসক্লাব আয়োজিত আলোচনা সভায় এই মত ব্যক্ত করেন বক্তারা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দিবস উপলক্ষে রোববার রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের উদোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব একেএম মকছুদ আহমেদ।

প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি অলি আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক রাঙামাটি সম্পাদক আনোয়ার আল হক, কোষাধ্যক্ষ পুলক চক্রবর্তী, সাবেক সেক্রেটারী মুহাম্মদ ইলিয়াস, ক্লাবের সদস্য শংকর হোড়, মনসুর আহমেদ, মোঃ হান্নান, জাহেদা কামাল ও মোঃ শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন সাংবাদিক মঈন উদ্দীন বাপ্পী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া এদেশের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় নাই। তিনি আরোও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছে গিয়েছি। দেশ এখন পুরোপুরি স্বয়ং সম্পুর্ণ।

সভাপতির বক্তব্যে প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ রুবেল বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল একটি অগ্নিমশাল, যা বিস্ফোরিত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের দাবানল যার সামনে টিকতে পারেনি হানাদার পাকিস্তানিরা। তিনি বলেন, জাতির জনকের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়কেই নাড়া দেয়নি, ভাষণটি সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এ ভাষণের মধ্যদিয়ে সমগ্র জাতিকে মুক্তির মোহনায় দাঁড় করিয়েছিলেন জাতির জনক। তিনি একটি ভাষণের মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।