॥ আজগর আলী খান ॥
দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাঙামাটি জেলার ঐতিহ্যবাহী রাজস্থলী বাজারের অস্থায়ী বাজার সেড ভেঙ্গে নির্মাণ করা হচ্ছে ৪ তলা বিশিষ্ট ‘অত্যাধুনিক বাজার’। নির্মানাধীন এই মার্কেটে কোনো রকম জামানত ছাড়াই খাজনা দিয়ে দোকান বসিয়ে মাছ-মাংস ও শাকসবজিসহ কাঁচামাল সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যদী বেচা-বিক্রি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারাও স্বাচ্ছন্দে এ মার্কেট থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় মাছ ও কাচা বাজার করতে পারবে । নতুন মার্কেট হলে বর্তমানে বাজারের ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই। বাজার ফান্ড প্রশাসনের মালিকানাধিন ৮শতাংশ জমিতে এ মার্কেট ভবন নির্মাণ করছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ । ইতোমধ্যে নামফলক উম্মেচনের মাধ্যমে রাজস্থলী বাজারের মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাঙামাটি আসনের সংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি । এসময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএন ও, প্রকৌশলী সহ বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।পুরা রাজস্থলী সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সুবিধার্থে ব্যবসায়ীদের বানিজ্যিক সুবিধা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা বাজার ফান্ড প্রশাসন মহতি উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সাধারণ জনগন।
জেলা বাজার ফান্ড প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চার তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক মার্কেটের নিচ তলা মাছ ব্যবসায়ীদের জন্য এবং দ্বিতীয় তলা কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে প্রথম পর্যায়ে। দ্বিতীয় পর্যায় এবং ৩য় ও ৪ তলার কাজ শেষ হলে মাছ কাচাবাজার ব্যাবসায়ীদের দেওয়া হবে। প্রতিটি ফ্লোরে ১০০ জন করে ক্রেতা এক সাথে বাজার করতে পারবেন। ব্যবসায়ী বিভিন্ন প্রজাতির নদী ও সামুদ্রীক মাছ অত্র উপজেলায় উৎপাদিত ও আমদানিকৃত শাকসব্জি বিক্রি করতে পারবেন।
রাজস্থলী বাজারের বাজার চৌধুরী প্রজ্ঞাজ্যোতি চাকমা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ড্রেনেজ ও বর্জসহ নানাবিদ অব্যবস্থাপনায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হতো বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের। নির্মিত এ মার্কেটে’ অত্যাধুনিক সকল সুবিধার ব্যবস্থা থাকছে। স্বাচ্ছন্দে মার্কেটে বাজার করতে পারবেন ক্রেতারা। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মার্কেট ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। বাজারের মাছ ও কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের সাময়িক সময়ের জন্য পার্শবর্তী বাজারের দক্ষিণ সাইডে শেড করে স্থানন্তর করা হয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে ব্যবসায়ীদের পুনরায় নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হবে। রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাস বলেন, নির্মাণ কাজ শেষ হলে অত্যাধুনিক রাজস্থলী বাজার মার্কেটটি এ দুর্গম পার্বত্য এলাকার ভোক্তা ও বিক্রেতাদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।এক মার্কেটেই মাছ ও কাঁচাবাজারে সব কিছু পাওয়া যাবে। রাজস্থলীতে একটি নান্দনিক মার্কেট হবে এটি।রাজস্থলীর সর্বস্থরের জনসাধরণ বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে আরো উন্নয়ন হতো কিন্তু পার্বত্য আঞ্চলিক সংগঠনের অব্যাহত চাঁদাবাজীর কারণে আজ পার্বত্য রাজস্থলীতে উন্নয়ন হতে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ জনগন।