কচুরীপানা অপসারণে কোনো উদ্যোগ নেই : রাঙামাটি জেলার পাঁচ উপজেলার নৌ-যোগাযোগ ব্যাহত

630

 

শহরের রিজার্ব বাজার এলাকা থেকে তোলা ছবি
শহরের রিজার্ব বাজার এলাকা থেকে তোলা ছবি

মঈন উদ্দীন বাপ্পী , ২৭ নভেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : কাপ্তাই হ্রদের পঞ্জীভূত হওয়া কচুরীপানা এখন রাঙামাটি জেলার পাঁচ উচজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনে দিনে এ সমস্যা বাড়তে থাকলেও কচুরীপানা অপসারণ বা এই সমস্য সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি কোনো কর্তৃপক্ষ। মাঝে মাঝে কোনো কোনো ফোরামে কচুরীপানা সমস্যা সমাধানে আলোচনা পর্যালোচনা হলেও তা আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে গেছে। রাঙামাটির নৌ-পরিবহন মালিকরা বিভিন্ন সময় এ সমস্যা উত্তোরণে ব্যবস্থা গ্রহণের আশায় বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েও কোন ফল পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। বোট মালিকরা অভিযোগ করেন যে, রাঙামাটি জেলা সদরের সাথে পাঁটি উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র বাহন নৌযান। কচুরী পানার জঞ্জালে পড়ে নৌযোগাযোগ দারুণভাবে ব্যাহত হলেও কারো যেন মাথা ব্যাথা নেই। এতে পণ্য পরিবহন, ব্যবসা বাণিজ্য এবং সাধারণ যোগাযোগ দুর্ভোগে পরিনত হয়েছে।

কচুরীপানা সমস্যা নিয়ে বোট চালক কাদের মিয়া বললে, কচুরীপানার কারণে বোট চালাতে হিমসিম খেতে হয়। কচুরীপানাগুলো আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করছে। কিন্তু এর থেকে সমাধানের পথ এখনো খুঁজে পাইনি। তিনি জানান, কচুরীপানা সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন মহলের দ্বারস্থ হয়ে সঠিক সমাধান না পেয়ে এবার এ সমস্যা সমাধানের জন্য রাঙামাটি কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রমনী কান্তি চাকমা একটু হলেও আশার বাণী শুনিয়েছেন ।

তিনি জানিয়েছেন, কচুরীপানা বর্তমান সময়ে সমস্যা হলেও আমরা চাইলে তা জৈব সারে পরিণত করে সম্পদে পরিণত করতে পারি। এর জন্য ব্যপক অর্থের প্রয়োজন। আমরা বিভিন্ন সময় জেলা পরিষদ এবং জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা করেছি এবং সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা করছি।

সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান