কঠিন চীবর দান উপলক্ষে আর্য্য বিমুক্তি বন বিহারে নানাবিধ দানানুষ্ঠান

369

।। নানিয়ারচর প্রতিনিধি ।।

রাঙামাটির নানিয়ারচরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আর্য্য বিমুক্তি বন বিহারে দু’দিন ব্যাপী ৯ম তম শুভ দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে বুদ্ধ মূর্তি দান, সঙ্ঘ দান, অষ্ট পরিষ্কার দান, কঠিন চীবর দান, বেইন ঘর উৎসর্গসহ নানাবিধ পূণ্যানুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ইলিপন চাকমা।

এসময় মঞ্চে সঙ্ঘ প্রধান হিসেবে উপবিষ্ট ছিলেন, রাজবন বিহারের আবাসিক প্রদান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির। এছাড়াও বোধিপুর বন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ জিন বোধি মহাস্থবির, শ্রীমৎ জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির, শ্রীমৎ দেবানন্দ মহাস্থবির, আর্য্য বিমুক্তি বন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিনয় প্রিয় মহাস্থবির সহ বিভিন্ন বিহার থেকে আমন্ত্রিত ভিক্ষু সঙ্ঘ উপস্থিত ছিলেন। প্লান্তি চাকমা সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ৪নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অমল কান্তি চাকমা, প্যানেল চেয়ারম্যান জ্ঞানরঞ্জন দেওয়ান, আর্য্য বিমুক্তি বন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি রিপেন চাকমা, সাধারণ সম্পাদক বিনয় চাকমা সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইলিপন চাকমা বলেন, বিশ্ব মহামারি করোনা (কোভিড-১৯) বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে।

এতদসত্তেও পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের আন্তরিকতায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে যথেষ্ট বরাদ্দ প্রদান করেছে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর আন্তরিকতায় নানিয়ারচরে প্রায় ২কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে উন্নয়নমূলক বিশেষ প্রকল্পের চাহিদা চাওয়া হয়েছে। নানিয়ারচরের জন্য ৫টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আবেদন করেছি। এসব প্রকল্পগুলো অনুনমোদন হলে চৌধুরীছড়া ব্রিজ ও রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক হতে চৌধুরীছড়া-আর্য বিমুক্তি বন বিহার হয়ে পোড়াক্যাম্প পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে।

বন ভান্তের প্রধান শিষ্য শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির দেশনায় বলেন, বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণে আমাদের সম্যক জ্ঞান লাভের চেষ্টা করতে হবে। তিনি বুদ্ধের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে জ্ঞান সাধনার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, বুদ্ধের নির্দেশাবলী পালন করতে অবশ্যই আমাদের সদা সত্যবাদী হতে হবে। ভাল কিছু অর্জনের জন্য অবশ্যই প্রতিজ্ঞা থাকতে হবে। সব শেষে তিনি কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অর্জিত পুণ্যরাশি দেশ ও জাতি তথা সারা বিশ্বের সুখ সমৃদ্ধি কামনায় বিতরণ করেন।