কমিটি সংশোধনের দাবিতে রাঙামাটি জেলা আ’লীগের পদ বঞ্চিত নেতাদের সংবাদ সম্মেলন

190

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি সংশোধন অথবা রদবদল করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পদবঞ্চিত নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় ঘোষিত কমিটিতে পূর্ববর্তী কমিটির অনেক ত্যাগী এবং দলের দুঃসময়ের পরীক্ষিত নেতারা বাদ পড়েছেন।

অথচ দলে দীর্ঘদিন কাজ করা এসব নেতাদের রেখেও কমপক্ষে আরো ২২জন নতুন নেতাকে সংযোজন করা যেতো। আগের কমিটির যেসব নেতৃবৃন্দের জীবনাবসান হয়েছে তারা এবং কমিটির পরিসর বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সুযোগ ছিল বলে উল্লেখ করেন তারা। নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন জেলা কমিটির প্রধান দুই নেতা একটি একপেশে কমিটি অনুমোদন করিয়ে দলের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। তারা পদ ফিরে পেতে দলীয় সভানেত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা দলের প্রতি অনুগত এবং ঐক্যবদ্ধ আছি। কিন্তু কোনো অপরাধ ছাড়া আমাদের দুরে সরিয়ে রেখে দলের সৌন্দর্য নষ্ট করা হচ্ছে। এটা যেমন অমানবিক তেমনি অবিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্ত। নেতারা বলেন আমরা গ্রুপিংএর রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করিনা, শুধু কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সামনে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার বাস্তবায়ন চাই।

সোমবার দুপুরে রাঙামাটি শহরের স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল মতিন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ডা: আশুতোষ বড়ুয়া, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জমির উদ্দিন, সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো: হানিফ, সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক মো: জাকির হোসেন সেলিম, সাবেক উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অমর কুমার দে, সাবেক সদস্য জয় সেন তঞ্চঙ্গ্যা, সাবেক সদস্য নুরুল আজম চৌধুরী, সাবেক সদস্য মো: শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মলনে পদবঞ্চিত নেতৃবৃন্দ বলেন, নতুন কমিটিতে আগের কমিটির ১৮জনসহ ত্যাগী-পরীক্ষিত, সাংগঠনিক কার্যক্রমে দক্ষ ও শারীরিকিভাবে সক্ষম নেতাকে রাখা হয়নি। ৭৫ পরবর্তী কঠিন দুঃসময়ে যারা তিল তিল করে দলকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করেছে তাদের বাদ দিয়ে বিএনপি থেকে আসা লোকজন এবং উপজেলা ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের যুক্ত করে কমিটি করার মাধ্যমে দলের শক্তিকে সংকুচিত করা হয়েছে। তারা বলেন কমিটিতে ২৭ জনকে দ্বৈত দায়িত্ব দিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে যৌথভাবে বসে কমিটি করা এবং পূর্বের কমিটি সক্ষম সকল নেতাকে রাখার কথা থাকলেও তিনতিনবার চুপিসারে কমিটি পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য। তারা এই কমিটিকে সিন্ডিকেট কমিটি আখ্যায়িত করে কমিটি সংশোধনের দাবি জানান।