\ আলমগীর মানিক \
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলাধীন গহীন অরণ্যে সন্ত্রাসীরা সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে অবৈধ অস্ত্রের প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি সামরিক সশস্ত্র তৎপরতা চালানোর জন্য জমা করা অস্ত্রের মওজুদ ও গোপন আস্তানা আবিস্কার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী। শুক্রবার কাউখালি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এই ‘গোপন আস্তানার’ সন্ধান পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ওই আস্তানা থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম জব্দ করে সেনা-পুলিশের যৌথবাহিনী।
শুক্রবার (৭ মার্চ সকালে) এই অভিযান চালানো হয়। বিকেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোন আয়োজিদ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান সদর জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ জুনাইদ উদ্দীন শাহ চৌধুরী। এসময় রাঙামাটি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহমুদ খান উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের গোপন আস্তানা থেকে একটি পিস্তল, ১৭ রাউন্ড গুলি, একটি বাইনোকুলার, কয়েকটি ওয়াকিটকি সেট, একটি হার্ডডিস্ক, ইউনিফর্ম, চাঁদা আদায়ের রসিদ, বিপ্লবী লাল বইসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি সেনাবাহিনী।
লে. কর্নেল মুহাম্মদ জুনাইদ উদ্দীন শাহ চৌধুরী জানান, শুক্রবার ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাউখালি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তবে তাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এসময় অভিযান বাধাগ্রস্থ করতে ইউপিডিএফ কিছু সংখ্যক পাহাড়ি মহিলা দ্বারা বিক্ষোভ প্রদর্শনের অপচেষ্টা করে।
পাহাড়ের শান্তি বিনষ্টকারী এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি প্রদানকারী সকল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় কাউখালি থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি সরদ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহমুদ খান।