রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানীর পশুঁর হাট। ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায়
এবারও কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কোরবানীর পশু গরু,ছাগলের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ করা গেছে। উপজেলার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা হতে প্রতি বাজারে শতশত ক্রেতা বিক্রেতা কোরবানীর পশু গরু,ছাগল বেচা কেনার জন্য ভিড় করছেন।
কাউখালীর ঘাগড়া,বেতবুনিয়া,নাইল্যাছড়ি, ঘিলাছড়ি,উপজেলা সদরসহ অস্থায়ীভাবে বাজারগুলিতে। ক্রেতা বিক্রেতা,বেপারীদের পদচারণায় ভরে উঠেছে এসব বাজারগুলি। বেপারীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্রত্যন্ত এলাকা হতে পাহাড়ী গরু,সাধারন গরু, ছাগল নিয়ে আসেন অধিক লাভের আশায় এসব বাজার গুলিতে।
সরেজমিন এসব বাজার গুরে দেখা যায়, এবারের কোরবানের পশুর হাটে গরু, ছাগলের দাম একটু বেশী। উপজেলা সদর বাজারে গরু ব্যবসায়ী মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন গত বছরের তুলনায় এবার গরু,ছাগলের দাম একটু বেশী। ঘাগড়া বাজারে গরু ক্রেতা মোঃ মোরশেদ বলেন এবার কাউখালীর বিভিন্ন বাজারে ভাল ছোট মাঝারী বড় মোটা গরু,ছাগল উঠলেও এবার একটু দাম বেশী। অন্যদিকে বেতবুনিয়া বাজারে গরু ব্যাবসায়ী মোঃ সোনা মিয়া বললেন অন্য কথা, পাহাড় থেকে আসা গরু ছাগলের চাহিদা একটু বেশী কারন পাহাড়ের গরু ছাগলগুলি একটু মোটা তাজা এ জন্য এদের চাহিদা একটু বেশী ক্রেতার কাছে।
উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাট থেকে প্রতি বাজারের দিন ক্রেতারা গরু,ছাগল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পায়ে হেটে আবার ছোট ছোট পিক আপ ভ্যানে করে দুর দুরান্তে। নেই চাদাঁবাজির যন্ত্রনা আর হাসিলের অধিক চাহিদা। যার ফলে গত বছরের তুলনায় এবার উপজেলার প্রত্যেকটি পশুর হাটে রয়েছে আলাদা কমিটি। সেই সাথে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারী। যার কারনে এবার উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাটে নেই কোন ঝক্কি ঝামেলা। সাধারন ক্রেতা বিক্রেতারা মনের স্বাচ্ছন্দে কেনা বেচা করছেন গরু,ছাগল। লাভও হচ্ছে আগের তুলনায় অনেক বেশী। তা ছাড়া কোরবানীর পশুর তেমন কোন ঘাটতি নেই বলে জানান ক্রেতা বিক্রেতা সাধারন জনসাধারন।