\ স্টাফ রিপোর্টার \
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার পানছড়ির উগলছড়ি থেকে পাচারের সময় বেতছড়ি এলাকায় ৩১ কার্টুন ভারতীয় অবৈধ সিগারেট আটক করেছে যৌথবাহিনী। এ সময় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা সিগারেটের দাম আনুমানিক ৬২ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সোহাগ।
বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে মেজর মো. মিনহাজুল আদেীনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে উপজেলার বেতছড়ি এলাকার শামসুদ্দিনের বাড়ি থেকে এই অবৈধ সিগারেট উদ্ধারের পর জব্দ করা হয়। আটককৃতরা হলেন- কাউখালী উপজেলা কৃষক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইসমাইল, উপজেলা তাঁতী দলের যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ রিপন, উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ও বাড়ির মালিক মোঃ শামশুদ্দিন। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, রাঙামাটি জেলার ভারত সীমান্তবর্তি এলাকা থেকে বিভিন্ন রুট ব্যবহার করে এসব ভারতীয় অবৈধ সিগারেট পাচার করে আসছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের সাথে সাথে পাল্টে যায় এই পাচারকারী চক্রের সদস্যরাও।
বুধবার দিবাগত রাতে রাঙামাটি থেকে কাউখালী উপজেলার পানছড়ির উগলছড়ি এলাকা ও বেতছড়ি হয়ে ভারতীয় ৩১ কার্টুন ওরিস ও মুন সিগারেট পাচারের জন্য নিয়ে আসা হয়। ভোর হয়ে যাওয়ায় পাচারকারীরা বেতছড়ি এলাকার সামশুদ্দিনের বাড়ীতে সিগারেট লুকিয়ে রাখে। এরমধ্যেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর একটি টীম ঘটনাস্থলে এসে সিগারেটসহ চারজনকে আটক করে। কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সোহাগ জানিয়েছেন অবৈধ ভারতীয় সিগারেট আটকের ঘটনায় কাউখালী থানার এস আই জুলফিকার বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছে। আটককৃত ৪জনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এদের বাহিরেও যদি কেউ জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে সাম্প্রতিক
সময়ে রাঙামাটি জেলার বরকল ও জুরাছড়ি উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে কোটি কোটি টাকার অবৈধ ভারতীয় পণ্য এনে রাঙামাটি হয়ে চট্টগ্রামে পাচার করছে সিন্ডিকেট চক্র। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অবৈধ সিগারেটের সংবাদ প্রচার হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায়, চোরাচালানি সিন্ডিকেট চক্র এখন নানান ছদ্মবেশে মৌসুমী ফলের গাড়ি, কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি, সিএনজি অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেলে করে বিভিন্ন কোম্পানীর ডিলারের মালামালের সাথে এই সকল ভারতীয় সিগারেট পাচার করে আসছে।
