কাউখালীতে সুরক্ষা বলয় আঁকলো গ্রীন আর্মি

681

স্টাফ রিপোর্টার 

বৈশ্বিক করোনা মহামরীর ভয়াবহতা সামলাতে দেশব্যাপী চলছে সরকার ঘোষিত সপ্তাহব্যাপী লকডাউন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার তবে সমন্বয়হীনতা ও জনসাধারণের উদাসীনতায় সকল পরিকল্পনা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে প্রতি পদে। গবেষণা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সচেতনতা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের কোন বিকল্প নেই। সাধারণ জনসাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় বিন্দুমাত্র দায়িত্ববোধের পরিচয় দিচ্ছে না। মাস্ক পরিধান না করা, লকডাউন উপেক্ষা করেই প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের হওয়া এমন অনেক ঘটনাই ঘটছে হরহামেশা।

জনসাধারণের মাঝে এই দায়িত্ববোধের উদয় ঘটাতে মাঠ পর্যায়ে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে সরব একঝাঁক তরুণ স্বেচ্ছাসেবী। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জেলা রাঙামাটির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন Jibon”জীবন” এর উদ্যোগে কাউখালী উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সুরক্ষা বলয় অঙ্কন করছে Jibon”জীবন” কাউখালী চ্যাপটারের সদস্যরা।

কাউখালী চ্যাপটারের উপদেষ্টা ৭১ টেলিভিশন ও দৈনিক কালের কন্ঠের কাউখালী প্রতিনিধি মোঃ জয়নাল আবেদীনের সহযোগিতায় কাউখালী উপজেলার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফার্মেসি, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাট-বাজারে ৩ ফুট দূরত্ব মেপে সাদা প্রলেপ অঙ্কন করেছে। কাউখালী উপজেলায় করোনার ভয়াবহতা ও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনতে ধারাবাহিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সংগঠনের সদস্যরা।

শুক্রবার সকাল থেকেই কাউখালীর জনসমাগমের স্থানগুলো চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে এই সাদা প্রলেপ অঙ্কনের কাজ শুরু করে স্বেচ্ছাসেবীরা। করোনার শুরুর দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশকিছু উদ্যোগ নিলেও সময়ের ব্যবধানে আবারো মাঠ পর্যায়ের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে উপজেলার প্রতিটি জনবহুল স্থানে। সাদা প্রলেপ অঙ্কনের পাশাপাশি পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।

সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবী বিবি কুলসুমা জানান, “আমাদের কাউখালী উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার আপাতদৃষ্টিতে কম মনে হলেও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারনে অনেক সাধারণ মানুষ নিজের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। সচেতনতার অভাবেই তাঁরা মাস্ক পরিধান করছে না, বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে। আমরা তাঁদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য মাঠ পর্যায়ে ধারাবাহিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।”

উমংসাইং মারমা জানান, “প্রশাসনের একার পক্ষে কখনোই জনগণকে জোরপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি মানানো সম্ভব না। তাই আমরা সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রশাসনকে সাহায্য করছি মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।”

প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে আবারো সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও অন্তত দুই সপ্তাহ লকডাউনের পরামর্শ এবং বেসরকারি পর্যায়ে টিকা আনার সুপারিশ জানিয়েছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি। রোববার লকডাউন বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।