কাউখালী-রাণীর হাট সড়কের সবক’টি বেইলী ব্রীজ বর্তমানে মরণফাঁদ

301

॥ মো. ওমর ফারুক ॥

কাউখালী থেকে রানীরহাট গামী এই উপজেলার প্রধান সড়কের সব কয়টি বেইলী ব্রীজ বর্তমানে অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে বলে দাবি করে একে মরণ ফাঁদ হিসেবে আখ্যায়িথ করেছে এলাকার সাধারণ মানুষ। সহসাই এই ব্রীজগুলো সংষ্কার বা পুণনির্মাণ না করলে যে কোনো সময় বড় ধরণের দুঘটনার আশঙ্কা করছে এলকাবাসী।

এলকার মানুষ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর নিয়ে জানা গেছে, দির্ঘ ৪০ বছর পুর্বে ১৯৮২ ইং সালে রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার গোড়াপত্তনকালে এই সড়কে বেশ কয়েকটি বেইলী (স্টিলের) ব্রীজ নির্মাণ করে। সেই থেকে দীর্ঘ চার দশক অব্যাহতভাবে কাউখালী- রাণীর হাট সড়ক এবং বাজার এলাকাসহ চারটি বেইলী ব্রীজ ব্যবহার হয়ে আসছে। উপজেলার চার ইউনিয়নের প্রায় পচাত্তর হাজার জনসংখ্যার বেশির ভাগ মানুষ ভারী এবং হাল্কা যানবাহনে প্রতিদিন এই সব সড়কের বেইলী ব্রীজ দিয়ে ঝুকিপুর্ন অবস্থায় চলাফেলা করেন জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে। দির্ঘ ৪০ বছরে বেশ কয়েকবার এইসব বেইলী ব্রীজে ভেংগে ঘটেছে অনেক দুর্ঘটনা। গত ২৫ শে আগষ্ট/২১ ইং তারিখে রাত্রে কাউখালী বাজার বেইলী ব্রীজের উপর দিয়ে গভীর রাত্রে কাউখালী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সিলেটি পাথর (অতিরিক্ত) বোঝাই ট্রাক পার হওয়ার সময় বেইলী ব্রীজটি মাঝখান থেকে ভেংগে পড়ে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটে এবং গাড়িতে থাকা শ্রমিক গুরুত্বর আহত হন। দির্ঘদিন দু পাড়ের জনসাধারনকে ভিষন ভোগান্তি পোহাতে হয়। পরে রাংগামাটি সড়ক ও জণপথ বিভাগ এক মাসের অদিক সময় ধরে ব্রীজটির মাঝখাঁেন ঠেক দিয়ে কোন রকম দু পাড়ের জন সাধারনের ও হাল্কা যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে দেন। যদিওবা সওজের পক্ষ হতে ৫টনের অধিক মালামাল বহন করা যাবেনা মর্মে সতর্কতা নির্দেশ প্রদান করে সতর্কীকরন সাইন বোর্ড টাংগিয়ে দিয়ে দায় সেরেছেন বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।

অন্যদিকে সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায় রানীরহাট টু কাউখালী প্রবেশ করতে প্রথম বেইলী ব্রীজটি , মধ্যম বেতছড়ি, ফজলু মাষ্টারের ঘাটা বেইলী ব্রীজগুলি বর্তমানে খুবই ঝুকিপুর্ন অবস্থায় রয়েছে। দেখা যায় ফজলু মাষ্টারের ঘাটা বেইলী ব্রীজের মাঝঁখানে দেয়া প্রটেক্শন দেয়া পাকা পিলারের নিছে বালু মাটি (রানীরহাট টু কাউখালী খালে অতিরিক্ত অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে) সরে গিয়ে পাকাঁ পিলারটি বর্তমানে খুবই ঝুঁিকপুর্ন অবস্থায় ঠায় দাড়িয়ে রয়েছে। ঘঠতে পারে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কথা হয় যাত্রী জয়চন্দ্র চাকমা, সিএনজি চালক মো.দুলাল, ব্যাবসায়ী সগির আলম সহ অনেকের সাথে সবাই বলেন আমরা খুব ঝুঁিক নিয়ে এই রোডের বেইলী ব্রীজ দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাফেরা করি। তাছাড়া প্রায়ই এই রোড দিয়ে অতিরিক্ত ইট বোঝাই ট্রাক অতিরিক্ত বাশঁ বোঝাইঁ ট্রাক অতিরিক্ত সেগুন কাঠ বোঝাই ট্রাক লাকড়ী বোঝাই ট্রাক জীপ দিনে এবং রাতের বেলা চলাচল করেন। যার কারনে ৪০ বছর আগে নির্মিত এইসব বেইলী ব্রীজ গুলি বর্তমানে খুবই ঝুকিপুর্ন বলে তারা সবাই একবাক্যে স্বিকার করেন এবং প্রায়ই এই রোডের মধ্যম বেতছড়ি ব্রীজ বেশী লম্বা হওয়ার কারনে প্রায়ই পল্টুন পড়ে যায়। এসব কারনে অনেক সময় যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকে যার কারনে দু-পাড়ের যাত্রীদের পড়তে হয় চরম ভোগাঁন্তিতে।

এ ব্যাপারে রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রোকৌশলী মাহমুদ আল নুর সালেহীন এই প্রতিনিধিকে বলেন, এসব বেইলী ব্রীজগুলির বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে অনেক আগেই অবহিত করা হয়েছে এবং এই বেইলী ব্রীজগুলির পরিবর্তে আগামী অর্থবছরে (২০২২-২০২৩ ইং অর্থ-বছর) স্থায়ীভাবে যে ২টি বড় বেইলী ব্রীজ বেশি ঝুকিঁপুর্ন সেই ২টি বেইলী ব্রীজ স্থায়ীভাবে পাকাঁ ব্রীজ নির্মাণ করা হতে পারে বলে তিনি জানান। তিনি জানান বাকি ২টি বেইরী ব্রীজের বিষয়েও মনত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। সর্বোপরি কাউখালী টু রানীরহাট সড়কের এই ঝুকিঁপুর্ণ বেইলী ব্রীজগুলি যতদ্রুত সম্ভব মেরামত অথবা পুণঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকার মানুষ।