॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রোববার প্রথমবারের মতো ইভিএমএ রাঙামাটি পৌরসভা এলাকার ৯ টি ওয়ার্ডের ৩১টি ভোট কেন্দ্রে ভোটারারা শান্তিপুর্ণভাবে ভোট প্রদান করেন। এবারের নির্বাচনে রাঙামাটিতে মোট ভোটাধিকার প্রয়োগ হয়েছে ৫৩.৭৮ শতাংশ।
ভোটকেন্দ্রগুলোতে আইন শৃখলা রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন। প্রতিটি কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে, পুলিশ, বিজিবি এবং র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব)।
কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর পদে বেসরকারিভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন। সাধারণ কাউন্সিলার পদে ১ নং ওয়ার্ডে মোঃ হেলাল উদ্দিন (উটপাখী), ২ নং ওয়ার্ডে করিম আকবর (টেবিল ল্যাম্প), ৩ নং ওয়ার্ডে পুলক দে (ব্ল্যাক বোর্ড), ৪ নং ওয়ার্ডে মোঃ নুরুন্নবী (গাজর), ৫ নং ওয়ার্ডে বাচিং মারমা (পানির বোতল), ৬ নং ওয়ার্ডে রবি মোহন চাকমা (উটপাখী), ৭ নং ওয়ার্ডে মোঃ জামাল উদ্দিন (গাজর), ৮ নং ওয়ার্ডে কালায়ন চাকমা (টেবিল ল্যাম্প) ও ৯ নং ওয়ার্ডে সন্তোষ চাকমা (টেবিল ল্যাম্প)।
সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১,২,৩ নং ওয়ার্ডে জোসনা বেগম (অটোরিক্সা), ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডে নির্মলা দেওয়ান ও ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে জুবাইতুন নাহার (আনারস) নির্বাচিত হয়েছেন। বিস্তারিত তথ্যে জানা গেছে, ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড- জোসনা বেগম(৩৬৪১) প্রতিদ্বন্দ্বী রূপসী দাশগুপ্ত(১৭৩৪)। ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড- নির্মলা দেওয়ান(১৯৭৫), প্রতিদ্বন্দ্বী অন্তরা সেন (১৯৪১)। ৭,৮ ও ৯নং-জুবাইতুন নাহার(৩৬২১), প্রতিদ্বন্দ্বী প্রজ্ঞা চাকমা(২৯৮১)। তবে রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নারী কাউন্সিলর পদের সংরক্ষিত-২ আসনের বিজয়ী সম্পর্কে তথ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
গতকাল চতুর্থ ধাপের দেশের ৫৫টি পৌরসভার মধ্যে পার্বত্য রাঙামাটি পৌরসভার নির্বাচনে এবারই প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহন শুরু হয়। উৎস মুখর পরিবেশে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ছিল ভোটারদের দীর্ঘ সারি। দুপরের পর থেকে কেন্দ্র গুলোতে ভোটারের উপস্থিতি কিছুটা কমে যায়।
রাঙ্গামাটি পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচনে ৫ মেয়র প্রার্থী, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪১জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৯জন প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। রাঙ্গামাটির পৌর এলাকার ৩১টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পৌরসভার মোট ভোটার ৬২,৯১৩ জন। এর মধ্যে নারী ২৮৬৭১ ও পুরুষ ৩৪২৪২ জন।
নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ, ৯জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি পুলিশের ১১টি মোবাইল টীম এবং ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করছে। এছাড়াও র্যাব ও বিজিবি’র সদস্যরাও পুরো পৌর শহরে টহল দিচ্ছেন। আর নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এখনো শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।