॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটিতে চড়ুইভাতির আয়োজন করেছে কাঠালতলী সমাজ কল্যাণ উন্নয়ণ পরিষদ। শনিবার দিনব্যাপী চলে এ চড়–ইভাতি উৎসব। কাঠালতলী এলাকার শিশুদের জন্য উন্মুক্ত ছিল আয়োনটি। শিশুদের আনন্দ দিতে আনা হয় টেডি বিয়ার। এছাড়া বিভিন্ন খেলাধুলার মধ্যদিয়ে সাজানো হয় পুরো চড়–ইভাতি উৎসব।
প্রথম শ্রেণির শিশুদের জন্য ছিল চকলেট দৌড়। দ্বিতীয় থেকে ৫ম শ্রেণির শিশুদের জন্য ছিল এক পায়ে লাফানো। ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণির বাচ্চাদের জন্য ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ। শুধু তাই নয়, বড়দের জন্য ছিল খেলার আয়োজন। নারীদের জন্য বালিশ খেলো। আর পুরুষদের জন্য ছিল হাড়ি ভাঙ্গা।
এছাড়া শিশুদের কবিতা আবৃত্তি, নাচ, গান, নাটিকা, ছড়াও ছিল চড়–ইভাতির বিশেষ আকর্ষণ।
কাঠালতলী সমাজ কল্যাণ উন্নয়ণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দীন বলেন, ২০২৩সালে সমাজের মানুষদের নিয়ে এ কাঠালতলী সমাজ কল্যাণ উন্নয়ণ পরিষদ গঠিত হয়। মাত্র ৫মাসে এ কমিটি ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। এলাকার উন্নয়ণ, ময়লা অপসারণ, মাদক নিয়ন্ত্রণ, যুব সমাজকে সঠিক পথে নিয়ে আসাসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামুলক কাজ করে যাচ্ছে। ৩৫জন সদস্য নিয়ে এ কমিটির যাত্রা শুরু করেছে।
চড়–ইভাতি আয়োজনের লক্ষ্য ছিল এলাকার মানুষের মধ্যে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করা। যাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা যায়। এলাকার উন্নয়ন করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাই সবাইকে এক করার জন্য এ আয়োজন করা হয়েছে। এবার ছোট পরিসরে আয়োজন করা হলেও আগামীতে আরও বৃহৎভাবে আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
কাঠালতলী সমাজ কল্যাণ উন্নয়ণ পরিষদের চড়–ইভাতি আয়োজক কমিটিতে ছিলেন- কাঠালতলী সমাজ কল্যাণ উন্নয়ণ পরিষদের সভাপতি মো. হারুন নুর রশিদ, সদস্য মো. নাছির খাঁন, মো. নাছির উদ্দীন, মনসুর আহম্মেদ মান্না, মো. কামাল হোসেন, মো. গিয়াস উদ্দীন, মো. কামাল, মো. রাশেদুল ইসলাম রনি, ফাতেমা জান্নাত মুমু ও মো. বেলাল সহ অন্যান্যরা।
রাত ৮টায় পুরস্কার বিতরণ ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় কাঠালতলী সমাজ কল্যাণ উন্নয়ণ পরিষদের ভড়–ইভাতির অনুষ্ঠান।