কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে সোমবার দুপুরে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা করা হয়। ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জনসম্মুখে এই বাজেট ঘোষণা করেন। বাজেটে এই ইউনিয়নের উন্নয়ন আয় ধরা হয়েছে ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
সরকারি উন্নয়ন,উপজেলা পরিষদ, অন্যান্য উৎস,সেচ্ছা প্রণোদিত চাঁদা ও রাজস্ব উবৃক্ত থেকে বাজেটের প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৭২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা এবং কৃষি ও সেচ, শিল্প ও কুটির শিল্প, ভৌত অবকাঠামো, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি,বিবিধ সেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্রবিমোচন,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, মহিলা যুব ও শিশু উন্নয়ন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান সহ উন্নয়ন হিসাবের সর্বমোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।
বাজেট অনুষ্ঠানে কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অংসুইছাইন চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত বিকাশ তঞ্চাঙ্গ্যা, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি, ওয়াগ্যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চিরঞ্জিত চঞ্চাঙ্গ্যা, জাতীয় বিদুৎ শ্রমিক লীগের কাপ্তাই এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব, কাপ্তাই ইউপি আ’লীগের সভাপতি ও নতুন বাজার বণিক কল্যান সমবায় সমিতি লি. এর সভাপতি সাগর চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।
বাজেট ঘোষনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম বলেন, যেই ইউনিয়নের রাজস্ব খাতে যত বেশি আয় হয় সেই ইউনিয়নের উন্নয়নও তত বেশি করা সম্ভব। তাই রাজস্ব বাড়লে উন্নয়নও বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরো বলেন, সে সকল প্রতিষ্ঠান কাপ্তাইয়ে থেকেই কোটি টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হচ্ছে অথচ সরকারের রাজস্ব খাতে কোন অর্থ প্রদান করছেনা তাদের লিখিতভাবে রাজস্ব প্রদানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে নির্দেশ প্রদান করতে হবে। পরবর্তীতে লিখিত কাগজ পাওয়ার পরেও তারা যদি সরকারের রাজস্ব প্রদান না করে তাহলে তাদের আইনের আশ্রয়ে আনা হবে।