॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
টেন্ডার বাজীর মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিসহ দুই জনের বিরুদ্ধে ৩ বছরের জেল ও জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। মামলার একজন আসামী জহির কে ৩ বছর জেলসহ নগদ ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপর আসামী কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নূর উদ্দিন সুমনকে ১ বছরের জেল ও ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার রাঙামাটির অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সাহাব উদ্দিন এর আদালত এই রায় দেন। মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট শফিউল আলম মিয়া এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মামলা সম্পর্কে জানা গেছে ২০২০ সালে কাপ্তাই জেটিঘাট ইজারার টেন্ডার ড্রপকে কেন্দ্র করে এই মামলার সূত্রপাত। পিডিবির আওতাধীন জেটিঘাটের টেন্ডার ড্রপ করায় সিডিউল ড্রপকারি ঠিকাদারকে বেদড়ক পিটুনি দিয়ে আহত করে আসামী জহির, সুমন ও তাদের বন্ধুরা। সিডিউল ড্রপের পরদিন মামুন ও আরিফ একটি মাহফিলে গেলে তাদের উপর চড়াও হয় আসামীরা।
টেন্ডার ড্রপকারী মামুন তার সাথী আরীফ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর মামুনের বাবা আব্দুল মালেক ফকির ১১ জনকে অভিযুক্ত করে কাপ্তাই থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
২০ সালের ১৮ই নভেম্বর কাপ্তাই থানায় দায়ের করা ওই মামলায় দন্ড বিধির ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩০৭/১১৪/৩৭৯/৫০৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। মামলা নাম্বার-০৭/২০। মামলা প্রায় দুই বছর সময়ের দীর্ঘ শুনানী শেষে বুধবার বিজ্ঞ আদালত রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় বাদী মোঃ আব্দুল মালেক ফকির ও সাজাপ্রাপ্ত আসামী নুর উদ্দিন সুমন আদালতে উপস্থিত থাকলেও সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামী জহির আদালতে উপস্থিত ছিলন না। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অবিলম্বে আসামীদের শান্তি কার্যকর করার নিবেদন জানিয়েছেন বাদী আব্দুল মালেক ফকির।
এদিকে, রায়ের থবর শুনে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন জানিয়েছেন, নূর উদ্দিনসুমন কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিল, তবে বর্তমানে নেই; কাউন্সিলের মাধ্যমে উপজেলায় নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি সু-শৃঙ্খল ছাত্র সংগঠন। কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় সংগঠন নেবে না।