কাপ্তাই হ্রদের দুষণ রোধে জনসচেতনতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই: ডিসি মিজান

160

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

কাপ্তাই হ্রদের দুষণ রোধে জনসচেতনতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই উল্লেখ করে রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেছেন, কাপ্তাই হ্রদ আমাদের জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ; এখানকার অধিবাসীদেরকেই এই সম্পদের যতœ নিতে হবে। তিনি বলেন, শুধু হ্রদ নয় বরং কাপ্তাই হ্রদের গর্ভে সুপ্ত থাকা নদীগুলোর অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলেও কাপ্তাই হ্রদের দুষণ রোধ করতে হবে। এজন্য হ্রদের পাড়জুড়ে গড়ে ওঠা জনবসতির মানুষকে পরিবেশের প্রতি সংবেদনশীল হতে হবে। তা না হলে আজকের অসচেতনতা একদিন এ এলাকার মানুষের জন্যই হুমকি হয়ে দেখা দিবে।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহম্মদ মিজানুর রহমান এমন মন্তব্য করেন। রোববার জেলা সকাল নয়টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বিশ্ব নদী দিবসের আলোচনা সভায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (রাজস্ব) এস এম ফেরদৌস ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন মিয়া, জেলা মৎস কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র দাস, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক ও জেলা রোভার স্কাউট কমিশনার মোঃ নুরুল আবছার প্রমুখ।

জেলাপ্রশাসক তার বক্তব্যে আরো বলেন, আইন প্রয়োগ করে সব সমস্যার সমাধান করা যায় না। প্রয়োজন জনসচেতনতা, এরপরও আমরা কাপ্তাই হ্রদের দুষণ এবং দখল রোধে সময়ে সময়ে অভিযান পরিচালনা করি যাতে মানুষ সতর্ক থাকে। তিনি হ্রদের দুষণ- দখল বিষয়ে কোনো তৎপরতা চোখে পড়লে আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন, প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে। ডিসি উল্লেখ করেন যে, হ্রদের গর্ভে থাকা কর্ণফুলি, মাইনী, চেঙ্গী ও কাচালং নদীর প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য ড্রেজিং পরিচালনার বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। এই ড্রেজিংএর ফলাফল যেন স্থায়ী হয় সে বিষয়েও সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে আমরা জানাতে পেরেছি। তবে নিজেদের সম্পদ নিজেদেরকেই রক্ষা করতে হবে জনগণের মাঝে এই বোধ জাগ্রত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রোববার বিশ্ব নদী দিবস পালন করা জয়। নদী সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেই এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। ১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রোববার বিশ্ব নদী দিবস হিসেবে পালন করতে শুরু করে ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি। এরপর ২০০৫ সাল থেকে জাতিসংঘের বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা দিবসটি পালন করে আসছে।