কাপ্তাই হ্রদ আবারো অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

183

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

দু’দিনের ব্যবধানে কাপ্তাই হ্রদ হতে আরো এক ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার হয়েছে। অজ্ঞাতনামা এই ব্যক্তির মৃত্যু রহস্যজনক বলে ধারনা করা হচ্ছে। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বালুখালী ইউনিয়নের পার্শবর্তী হ্রদ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স জানিয়েছেন, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে একজন লোক নিহতকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: সোলায়মান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বালুখালী ইউনিয়নের কাইন্দারমুখ থেকে ইলিয়াছ হোসেন কাঞ্চন (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। সে বরকল উপজেলা সদরের আলী আকবরের ছেলে। লাশ পাওয়ার আগে সে কয়েকদিন নিখো*জ ছিল।

রোববার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তির সময় জানানো হয় কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ভাসতে দেখে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে তারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ প্রতিবেদককে এমনই জানিয়েছেন। জনৈক অজিত নামের একজন ব্যক্তি নিহতকে হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং নাম-ঠিকানা কিছুই দিতে পারেনি। তাই অজিতের মুঠোফোন নাম্বার জরুরী বিভাগের এন্ট্রি খাতায় লিখে রাখা হয়।

রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কবির হোসেন জানিয়েছেন, আমরা একটি অজ্ঞাতনামা লাশের খবর পেয়েছি। সেটি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে গিয়েছে।

এদিকে, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে সংগৃহিত মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলে অজিত নামের এক ব্যক্তি ফোনটি রিসিভ করেন। অজিত প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, রাঙামাটি শহরে স্বর্ণের দোকানের কারিগররা মিলে বিশ^কর্মা পূজা পালনে একটি লঞ্চ ভাড়া করে কাপ্তাই হ্রদে ঘুরতে যান। এসময় উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিটিও তাদের লঞ্চে চড়ে বসেন। বালুখালি ঘটনাস্থলের কাছে লঞ্চটি পৌছুলে লঞ্চ থেকে নিকসন নামের ৩০ বছর বয়সী এক যুবক পানিতে পড়ে যায়। এসময় তাকে উদ্ধার করতে উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিটিও পানিতে ঝাপিয়ে পড়ে। এসময় উক্ত নিকসনকে উদ্ধার করার কিছুক্ষণ পরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিটিকেও উদ্ধার করা হয়। কিন্তু সেসময় তিনি অজ্ঞান ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে অজিত জানান, মূলত উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি অন্য জেলা থেকে রাঙামাটিতে প্রায় সময় এসে স্বর্ণের কারিগরদের কাছ থেকে ফেলে দেওয়া ছাই সংগ্রহ করে কিনে নিতেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একটি আইডি কার্ড লঞ্চের কেউ একজন পেয়েছে এমন তথ্যও তিনি জানতে পেরেছেন বলে মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে অজিত জানান, রিজার্ভ বাজারের আলমগীর সওদাগরের মালিকানাধীন লঞ্চটি তারা ভাড়ায় নিয়েছিলেন এবং লঞ্চের মধ্যে অনেকেই মদও পান করেছিলেন।