॥ আলমগীর মানিক ॥
পার্বত্য রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই হ্রদের পানিপথ ব্যবহার করে ভারতে অবৈধভাবে দেশীয় রসুন পাচারের তথ্য প্রকাশ পাওয়ার পর টহল জোরদার করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড। তারা গড়ে তুলেছে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক, ফলাফলও এসেছে হাতে হাতে।
সোমবার ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন মানুষ যখন বিজয়ের আনন্দে ব্যস্ত, এই সময় পাচার কার্যে নেমে পড়ে চোরাচালানী সিন্ডিকেট, গোপন সংবাদে খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছে বিজিবি। বিজিবি টহল টিম বরকল উপজেলার ছোট হরিনা বাজার ঘাট থেকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে বহন করা ৬৮০ কেজি দেশীয় রসুন আটক করে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র দাবি করেছে, এই ক্রিমিনাল চক্রটি দেশীয় রসুন পাচারের পাশাপাশি, পাচার করছে দেশে তৈরি প্লাস্টিকের আসবাব ও গৃহস্থালী পণ্য। আর ভারতীয় সীমান্ত থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ সিগারেটসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে আসছে। বিষয়টি গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে রাঙামাটির ভারত সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড।
বিজিবির নির্ভরযোগ্য সূত্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, গত ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ছোট হরিনাস্থ ১২ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মীর হাসান শাহরিয়ার মাহমুদ পিএসসি’র নেতৃত্বে একটি টহলদল ছোটহরিণা বাজারঘাট নামক চেক পোষ্টের সামনে অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন পরিত্যাক্ত অবস্থায় ৬৮০ কেজি বাংলাদেশী রসুন জব্দ করে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১,৬৩,২০০/- টাকা। জব্দকৃত রসুন সীতাকুন্ড কাস্টমস অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
এদিকে ঠিক তার আগের দিন রোববার রাঙামাটি শহরের অদূরে একটি এলাকা থেকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযাান চালিয়ে বিপুল অবৈধ ভারতীয় সিগারে আটক করে।
মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ে চোরাচালান প্রতিরোধ বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় চোরাচালান রোধে আরো সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক হবীব উল্লাহ। এ সময় বিজিবি জানায়, তারা তৎপরতা বাড়িয়েছে তবে আরো কার্যকর নজরদারির জন্য এই বিষয়ে জনগণের সহযোগীতা কামনা করছে বিজিবি। বিজিবির ওই কর্মকর্তা জানান কেউ বিজিবিকে তথ্য দিলে তার তথ্যের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা তো রয়েছেই, এমনকি তার নাম পরিচয়ও গোপন রাখা হবে।