॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটি পার্বত্য পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেছেন, আমাদের কৃষি ও খাদ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আরো সক্রিয় এবং আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন বিশ্বব্যপী চলমান মন্দা সময়ের প্রভাব মোকাবেলায় আমরা উৎপাদন বাড়াতে না পারলে জনগণের খাদ্যের চাহিদা মেটানো কঠিন হবে। এতে বেড়ে যেতে পারে খাদ্যপণ্যের দাম। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোনোভাবেই খাদ্যপণ্যের মূল বাড়া বিষয়টি বরদাস্ত করবেন না বলে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন। তাই কৃষি ও খাদ্য সংশ্লিষ্ট তথা প্রাণি সম্পদ ও মৎস্য সম্পদের দায়িত্বে নিয়োজিতদের নিজেদের নিয়মিত দায়িত্বে বাইরে এসে অতিরিক্ত করতে হবে। কারণ দেশটি আমাদের এবং দেশের জনগণকে সুখে রাখার দায়িত্ব আমাদের উপর নির্ভরশীল।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের এর মাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। সভাটি রোববার (২১ জানুয়ারি ২০২৪) সকালে পরিষদের এনেক্স ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী।
বক্তব্যে তিনি হস্তান্তরিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদেরকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান। চেয়ারম্যান বলেন ২০২৪ সালে উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিষদের সদস্য ও বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ সমন্বিতভাবে দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলিও বাস্তবায়নে উদ্যোগী হবেন। কৃষি, মৎস্য দপ্তরে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে এবং শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও নিরাপদ পানির সেবা কার্যক্রম তৃনমুল পর্যায়ে সেবা গ্রহনের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।সমাজ সেবা বিভাগকে তার কাজের প্রসংসা করে চলমান সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার আহবান জানান।
পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম(যুগ্নসচিব) এর সঞ্চালনায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে সদস্য ঝর্ণা খীসা, সদস্য দিপ্তীময় তালুকদার, সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমা, সদস্য সবির কুমার চাকমা, সদস্য ইলিপন চাকমা, সদস্য প্রবর্তক চাকমা, সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, সদস্য মোসাম্মৎ আছমা বেগম, সদস্য মোঃ আব্দুর রহিম, সদস্য হাজী মো:মুছা মাতব্বর,সদস্য নিউচিং মারমা,নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়–য়া, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা, হিসাব ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদুল আলম চৌধুরীাসহ হস্তান্তরিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাগণ স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
