॥ কাপ্তাই প্রতিনিধি ॥
কাপ্তাই উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী বলেছেন, কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এম. এম. এ কাদের একটি বেসরকারি টিভিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক ও চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি’কে মাদকাসক্ত আখ্যায়িত করে তাদের বাড়িতে মাদকের আখড়া বসানো হয় বলে মন্তব্য করেন।
উপজেলার শীর্ষ দুই আ.লীগ নেতা ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দেওয়া এমন মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে প্রতিবাদ জানায় উপজেলা আ.লীগ সহ অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম মঙ্গলবার (২৯ই সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শেষ হওয়ার কথা। এ সময়ের মধ্যে তিনি ক্ষমা না চাইলে আ.লীগ নেতাদের নিয়ে মিথ্যাচার ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ায় তার কার্যালয় ঘেরাও, মামলা সহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এসময় সমগ্র উপজেলায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে তার সমস্ত দায় কেপিএম এমডি ডা. কাদেরকে বহন করতে হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৯ই সেপ্টেম্বর) কাপ্তাই উপজেলা আইনশৃঙ্গলা কমিটির সভায় এমন বক্তব্য রাখেন তিনি। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহানের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, উপজেলা আ.লীগ সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই থানা ওসি তদন্ত আতিকুর রহমান, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, রাইখালী ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এনামূল হক, ওয়াগ্গা ইউপি চেয়ারম্যান চিরঞ্জিত তনচংগ্যা সহ আরও অনেকে।
সভায় কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে এমন মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন তিনি (কেপিএমের এমডি)। তার বিরুদ্ধে আমি মানহানির মামলা সহ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলীপি দিবো।
সভায় চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি বলেন, ইউনিয়নটি অবস্থিত কেপিএম। অথচ দীর্ঘদিন এমডি কাদের আমাকে ইউনিয়নের টেক্স দিচ্ছেননা। এই রাজস্ব না পাওয়ায় ইউনিয়নের কার্যক্রম প্রায় বন্ধের পথে। আমার বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে আমি মানহানির মামলা করবো শীঘ্রই।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইনশৃৃঙ্খলার অবনতি যেন না হয় তার জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস জানান। এর আগে যোগাযোগ করা হলে কেপিএম এমডি ডা. এম. এম. এ কাদের জানান, দুই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আমি এমন মন্তব্য করিনি। আমি বলেছি, সন্ধ্যার পর কেপিএমে বিভিন্ন বাসায় মাদকের আড্ডা বসানো হয়।