খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : মো: জামাল উদ্দিন, পেশায় একজন টমটম চালক, গত ১ বছর ধরে অভাবে তারনায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পরিবার পরিজনকে রেখে খাগড়াছড়ি জেলা শহরে এসে ব্যাটারী চলিত টমটম চালিয়ে জীবাকা নির্বাহ করে আসছিল সে। দীর্ঘ দিন ধরে অভাব-অনটনের কসা থাতে জীবন কাটলেও সততা থেকে বিচ্ছুত হয়নী এ জামাল উদ্দিন। যাত্রীর মুল্যবান কাগজপত্রসহ টাকা-পয়সা ফেরত দিয়ে এ ব্যাক্তি সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাগড়াছড়ির কমলছড়ির প্রত্যান্ত অঞ্চল ৯নং ওয়ার্ডের বদাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রত্মময় চাকমা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুমন প্রিয় চাকমা দুজনেই বিদ্যালয়ের সরকারী কাজে জেলা সদরে আসেন। এসে দেখেন সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ চলছে।
তেমন কোন যানবাহনের চলাচল নেই সড়কে। পরে অনেক কষ্টে একটি টমটম নিয়ে সুইস গেইট এলাকায় পৌছেন। ভূল বশত নিজেদের সাথে থাকা টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান কাগজপত্র রেখে চলে যান। এক পর্যায়ে অনেক খোঁজাখুজি করেও হারানো মুল্যবান জিনিসপত্র না পেয়ে হতাশ হয়ে পরে তারা। খোঁজাখুজি করে সে টমটম চালককেও।
অবশেষে খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নে কর্মরত সাংবাদিকের সাহায্য কামনা করেন। এসময় সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক নুরুল আজমসহ কর্মরত মিডিয়া কর্মীরা খোজ খবর নিয়ে তাদের সহযোগিতা দিতে চেষ্টা চালায়। খোঁজা যাওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই টমটম চালক ব্যাগে রাখা কাগজপত্র থেকে মোবাইল নাম্বার নিয়ে মালিকের কাছে ফোন করেন। পরে স্ব-শরীরে এসে সে টমটম চালক হারানো জিনিসপত্র হস্থান্তর করেন। এসময় বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মুল্যবান কাগজপত্র ও হারানো জিনিস প্রেরত পেয়ে আবাগে আপলুত হয়ে পড়েন। এসময় তারা টমটম চালকের প্রতি কৃতগতা জানিয়ে তাকে পুরকৃত করে বলেন, এখনও ভাল মানুষ আছে।
পোস্ট করেনন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান