খাগড়াছড়িতে ইজারা বিহীন অবৈধ বালু উত্তেলনের ছবি তুলতে গিয়ে লাঞ্চিত ও পরে পৌরসভার সচিবের কক্ষে খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম কর্তৃক মারধরের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে খাগড়াছড়ির রাজনৈতিক ও সাংবাদিকসহ পেশাজীবি সাংবাদিকরা।
এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামালীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, সাংবাদিকদের উপর এ ধরনের হামলা অকল্পনিয়। সাংবাদিক উপর একজন জনপ্রতিনিধির এ আচরণ সকলের অপ্রত্যাশিত। পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, এ ঘটনা নিন্দনীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেয়র হয়ে এ ঘটনা ধরনের কর্মকান্ড প্রত্যাশিত নয়।
খাগড়াছড়ির জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে পেশাগত সাংবাদিকের গায়ে হাত তুলতে পারেন না।
রফিকুল আলম একের পর এক সংবাদপত্রের উপর হস্থক্ষেপসহ স্বাধীনতা ক্ষর্ব করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এছাড়াও একের পর এক ধারাবাহিক ভাবে সাংবাদিক এইচ এম প্রফুল্ল, সুকুমার বড়–য়া, নুরুল আজমকে প্রকাশ্যে হামলা মারধর, অপু দত্তসহ সাংবাদিক সমাজকে হুমকি ও কাল রবিবার দৈনিক প্রথম আলোর আলোকচিত্রী নীরব চৌধুরী মারধরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন, গুইমারা উপজেলা প্রেস ক্লাব, খাগড়াছড়ি ইউপিডিএফের সংগঠনক মিঠুন চাকমা, সহ পেশাজীবি সংবাদকর্মীরা তীব্র নিন্দা ও জানিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবী করেন।
প্রসঙ্গত: রোববার সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ির রাজ্যমণি পাড়ায় অবৈধ বালু মহালের ছবি তোলায় প্রথমে দিদার (প্রকাশ কসাই দিদার) কর্তৃক লাঞ্চিত ও পরে খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম নিজে তাকে সচিবের কক্ষে মারধর করে। পরে আহত অবস্থায় আলোকচিত্রী নীরব চৌধুরীকে খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তিকরা হয়।