আগামী ২৫ জুলাই ২০১৭ থেকে সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতেও শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ। কিন্তু খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন অফিস গুলোতে ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি শর্ত জুড়ে দেওয়ায় ভোটার হওয়ার যোগ্য অনেক নাগরিক ভোটার হওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় ভাবে আরোপিত শর্তের অতিরিক্ত খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক আরোপিত বাড়তি শর্তের নিন্দা জানিয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি। সারাদেশের ন্যায় একই শর্তে ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিকদের ভোটার তালিকা ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় এই রাজনৈতিক দলটি।
ভোটার হওয়ার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ও প্রচলিত শর্তের বাহিরে খাগড়াছড়ি সদর নির্বাচন অফিস ও উপজেলা নির্বাচন অফিস গুলোতে কিছু মনগড়া বাড়তি শর্ত দেওয়ালে টাঙ্গিয়ে দিয়েছে বলে করা হয়।
এতে যেমন- ২নং শর্তে বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও ৬নং শর্তের জায়গা জমির কাগজ পত্রের ফটোকপি চাওয়া হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, স্বামী/স্ত্রী হলেও এখনো যারা ভোটারই হয়নি, নতুন ভোটার হবে সে ক্ষেত্রে তারা কোথা থেকে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি আনবে?
৬নং শর্ত অনুযায়ী জমির মালিক সাধারণত নতুন ভোটারদের পিতা বা মাতারা হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে একজন নতুন ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিক কিভাবে নিজের নামে জমির কাগজপত্র আনবে? খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি মনে করে, এই ধরনের শর্ত দিয়ে কৌশলে নতুন ভোটারদের ভোটার হওয়া থেকে বঞ্চিত করা।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি, খাগড়াছড়ি জেলা ও উপজেলার নির্বাচন অফিস গুলোর এই ধরণের মনগড়া আরোপিত শর্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের প্রচলিত নিয়মে খাগড়াছড়িতেও ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিকদের ভোটার তালিকায় নাম অন্তভূক্ত করার দাবি জানান। অন্যথায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আবু তালেব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করেন। একই দাবীর সাথে একমত পোষণ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন।
নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারী দেয় সংগঠনটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন খাগড়াছড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ হুশিয়ারী জানান।