খানা খন্দকে ভর্তি কাউখালী-রাণীর হাট সড়কটির বেহাঁল দশা দেখার কেউ নেই

600

॥ মো. ওমর ফারুক ॥

রাঙামাটি জেলার দশ উপজেলার মধ্যে যে কয়েকটি উপজেলার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রয়েছে এর মধ্যে কাউখালী অন্যতম। কিন্তু এই কাউখালীর সাথে যোগাযোগের একমাত্র পথ কাউখালী-রাণীরহাট প্রধান সড়কটি জরাজীর্ণ অবস্থায় দীর্ঘদিন যাবত থাকলে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন সংস্কার না করা এই সড়কটি বর্তমানে খানা-খন্দকে পরিপূর্ণ অবস্থায় মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।

প্রায় ৫০ হাজার জনসংখ্যা অধ্যুষিত এই উপজেলাটি জেলা সদর থেকে সবচেয়ে কাছে অবস্থিত। ৩৩৯.২৯ বর্গ কিলামিটার আয়তনের এই উপজেলায় জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৭৪.৭০ (প্রতি ব:কি:মি:)। এই উপজেলায় প্রায় ৬৭টি সরকারি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মাদ্রাসা ও উচ্চ বিদ্যালয় মিলিয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং তিনটি কলেজ রয়েছে। এতকাল যাবত এই উপজেলার সাথে জেলা সদরের যোগাযোগ সবচেয়ে সহজ বিবেচনা করা হতো।

তাই এখানে অসংখ্য দেশি বিদেশি উন্নয়ন সংস্থা নানামুখি উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। যোগাযোগ সহজ থাকায় সরকারি বেসরকারি অধিকাংশ কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা জেলা সদর থেকে গিয়েই প্রতিদিন দাপ্তরিক কাজে অংশ গ্রহণ করেন। কিন্তু সড়কটির বেহাল দশার কারণে বর্তমানে এই সকল প্রতিষ্ঠানের কাজ কর্মে দীর্ঘসূত্রিতা ও স্থবিরতা নেমে এসেছে।

এছাড়া উপজেলার অধিবাসীরা নানা কারণে প্রতিদিন জেলা সদর ও চট্টগ্রামে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছে। উপজেলার এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন  বিভিন্ন ইউনিয়নে যাতায়াত করতে হয়। সেই সাথে বহন করতে হয় বিভিন্ন্ উৎপাদিত পন্য সামগ্রীসহ নিত্য প্রয়োজনীও নিত্য সামগ্রী। ফলে চরম ভোগান্তি পৌহাতে হচ্ছে তাদের মাত্র ৭.২৫ কিঃ মিঃ দৈর্ঘের এই কাউখালী-রাণীরহাট সড়কটির কারণে।

প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের ফলের কারনে সৃষ্ট বন্যায় পাহাড় ভেঙেঁ এই সড়কের উপর পড়ে সড়কে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। এলাকার লোকজনের নিজস্ব প্রচেষ্টায় সড়কের কিছু কিছু এলাকা হতে পাহাড় ধ্বসের মাটি সরিয়ে সড়কটিকে যোগাযোগের জন্য সচল করে। কিন্তু যান চলাচলে যাত্রী সাধারনের ভোগান্তির শেষ নেই। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাত্রী সাধারন এই ভোগান্তিকে মেনে নিয়েই  চলাচল করতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে  পথচারী  দেবেস চাকমা, রুপন মারমা, জনি তালুকদার, রুবেল, সিমা আক্তার ও সিএনজি চালক বাবুল, খোকন মিয়া, পরান সকলে বলছে রানীরহাট প্রধান এই সড়ক এখন যেন মরণ ফাঁদ। আমরা এত কষ্ট নিয়ে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করি এই সড়কটি যেন দেখার কেউ নেই। প্রশাসন মনে হয় এই সড়কটি দেখেন না।

রাঙামাটি সড়ক ও জণপথ বিভাগের অধীনে। এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে কথা হয় রাঙামাটি সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ইউনুছ এর সাথে, তিনি সড়কের বেহাল দশা বিষয়ে বলেন, এই সড়কের ৩ কিঃ মিঃ খারাপ জায়গা কিছুদিনের মধ্যে আমরা অফিস আদেশ পাওয়ার পর কার্র্পেটিং ও সিলকোটের কাজ করব। তিনি জানান, আমরা সড়কটির বরাদ্ধ পেয়েছি এখনো প্রাক্কলন পাশ হয়নি। ২টি কালভার্ট ও ৬কিঃ মিটার এলাকায় সড়কের ডেবে যাওয়া অংশটি পরবর্তিতে কাজ করার জন্য আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি সেগুলিও করা হবে বর্তমানে সড়কটি কাজ প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে।