ঘনিয়ে আসছে পৌর নির্বাচনঃ খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র পদে আলোচনার শীর্ষে যারা

466

॥ আল-মামুন ॥
ঘনিয়ে আসছে পৌর নির্বাচন। বাংলাদেশের অন্য পৌর সভার সাথে তাল মিলেয়ে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচন। পৌর নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে পার্বত্য এই জেলা।

ইতিমধ্যে জেলা শহরের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সব খানে শোভা পাচ্ছে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের নাম। তার মধ্যে রয়েছে বর্তমান মেয়র রফিকুল আলম, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী ও প্রস্তাবিত জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল ও খাগড়াছড়ি পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন এর নাম।
তবে অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে ভোট যুদ্ধে তুমুল লড়াই ও নানা শঙ্খাও উড়িয়ে দিচ্ছেনা স্থানীয় পৌরবাসীরা।

আওয়ামীলীগের দল থেকে যাকে প্রার্থী দেওয়া হবে তার সাথে কৌশলগত ও স্নায়ু যুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনে জয়ে মুখোমুখি লড়াই হবে এমনটাই মনে করছে সচেতন মহল।

এদিকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ৩টি পৌর সভায় গুরুত্বপূর্ণ খাগড়াছড়ি পৌরসভা নিয়ে জনে মনে নানা জল্পনা-কল্পনা দেখা দিয়েছে। আওয়ামীলীগের মনোনয়ন না পেলে কোন প্রার্থী বিদ্রোহ করলে তার জন্য অশনি শংকেত অপেক্ষা করছে বলেও দলের একাধিক সূত্র দাবী করেন। তবে আওয়ামীলীগ থেকে এবার কে পাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ মেয়র পদের টিকেট সেটাই এখন দেখার পালা!

খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলমের বিগত ২ দফায় মেয়র থাকা কালীন এলাকার উন্নয়ন,রাস্তাঘাট,ড্রেন-কালভার্টের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ,জলবদ্ধতা নিরসন,অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ,পৌর এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ গরীব-দু:খী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ফলে জনসমর্থন ও গ্রহণযোগ্যতায়ও পিছিয়ে নেই তিনি।

মেয়র রফিকুল আলম বলেন,আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পেলে আমি আগের মতই পৌরবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। সে সাথে পৌরবাসীর ভাগ্যান্নয়ন ও বেকারত্ব দুরিকরণে কাজ করা থেকে শুরু করে মাদক ও সন্ত্রাস নিমূলে কাজ করার কথা জানান তিনি।

তবে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়েও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দুইবার জয় ছিনিয়ে নেওয়া মেয়র রফিকুল আলম কি এবার পাচ্ছে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন সেটাই এখন দেখার পালা। নইলে আবারো সেই পুরোনো কোন্দল প্রকাশ্যে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর আর্দশ লালন করলেও বর্তমানে কোন পদ-পদবীতে না থাকায় মেয়র রফিকুল আলমের জন্য অনেকটা “বাড়ি থাকলেও ছাদ না থাকার মতই” মনে করছে প্রবীণ রাজনীতিবিদরা।

এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীরে সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী এবার খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন একমটাই শুনা যাচ্ছে লোকমুখে। ব্যক্তি হিসেবে ক্লিন ইমেজের এই রাজনীতিবিদ নিজ যোগ্যতায় শীর্ষ পদে অবস্থান সৃষ্টি করে নেওয়া ছাড়াও সাধারণ মানুষের মনেও স্থান করে নিয়েছেন অনেক আগেই। কারণ আওয়ামীলীগের সকল কর্মকান্ডে থাকার পাশাপাশি গরীব-দু:খী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি সব সময়। সুযোগ পেলে পৌরবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে রাজি আওয়ামীলীগের এই নেতা। তবে সংগঠনের সিধান্ত যা হবে তাই উনার সিধান্ত বলে জানান তিনি।

অপরদিকে তরুণ সমাজের আইকন খ্যাত খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল মেয়র পদে দলের আর্শিবাদ নিয়ে মাঠে নামবেন বলেও শুনা যাচ্ছে। তবে লোকমুখে শোভা যাওয়া মনোনয়ন কার ভাগ্যে মিলছে সেটা বলে দেবে সময়। দলের সকল দূ-সময়ে লোকবল নিয়ে ঝাপিয়ে পড়া এই তরুণ নেতা গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সবার মাঝে।

পৌরবাসীর দূ-সময়ে অর্থ ও নিজের সাধ্যমত সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে করোনাও ব্যক্তিগত উদ্যোগে মানুষের পাশে থাকার বিষয়টি উদাহারণ হয়ে রয়েছে। তার মধ্যে নেই কোন বিভাজন। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সহায়তা চেঁয়ে তার কাছে খালি হাতে ফিরেনী কেউ।

সকল ধর্মের মানুষের সামাজিক অনুষ্ঠানের সঙ্গি ও গরীব অসহায় শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ার খরচ থেকে চিকিৎসা ও বিয়ে পর্যন্ত খরচ করার উদাহরণ রয়েছে তার। এছাড়াও তিনি সুখে-দু:খে যিনি নেতাকর্মীদের সাথি হয়ে পাশে থেকেছেন। সব মিলিয়ে খাগড়াছড়ির মাটিতে তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন এক হেমিলনের বাঁশি ওয়ালা পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল। তার নেতৃত্ব ও প্রজ্ঞায় আওয়ামীলীগের জন্য নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাঁন বঙ্গবন্ধুর আর্দশের এই নেতা।

রাজনৈতিক কৌশলেও তরুণ এই নেতা পিছিয়ে নেই। দলের মনোনয়ন পেলে সুন্দর পর্যটনমুখী পৌর শহর গড়ার পাশাপাশি বেকারত্ব দুরিকরণ,আত্ম কর্মসংস্থান দৃষ্টিসহ সন্ত্রাস-মাদক নির্মূলকে প্রধান্য দিয়ে পৌরবাসীর জন্য নিজেকে নিবেদিত করবেন বলে তিনি জানান।

মেয়র পদ প্রার্থী খাগড়াছড়ি পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন সংগঠনের জন্য নিবেদিত ও মুল স্্েরাতধারার সাথে থাকা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আর্দশের এই সৈনিক সুযোগ পেলে পৌরবাসীর সেবা ও উন্নয়ন করতে চান। পাশাপাশি সন্ত্রাস,মাদক থেকে করে সকল অনিয়ম অনৈতিক কর্মকান্ড নির্মূল করে আধুনিক খাগড়াছড়ি গড়তে চাঁন তিনি।

সব কিছু ছাড়িয়ে খাগড়াছড়িবাসীর দাবী যোগ্য,পৌরবাসীর জন্য নিবেদীত এবং সকলের কথা ভাবেন এমন ব্যাক্তিকেউ দেওয়া হোক খাগড়াছড়ি পৌরসভার নৌকার প্রতিকের টিকেট। তবেই কাঙ্খিত সেবা ও সুফল পাবে খাগড়াছড়ি পৌরবাসী।