|| কাপ্তাই প্রতিনিধি ||
চন্দ্রঘোনা থানার সফল অভিযানে দীর্ঘ ১০ দিনের চেস্টায় দুর্গম রাইখালীর ডংনালা থেকে হত্যাচেস্টা মামলার ঘাতক আসামী মুংসুইচিং মারমা ও তার ভাই আবুসী মারমা কে আটক করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ১২ টা ২৫ মিনিটে চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী এবং ওসি তদন্ত ইসতিয়াক এর নেতৃত্বে চন্দ্রঘোনা থানার পুলিশ সদস্যরা তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।
থানাসূত্রে জানা যায়, চন্দ্রঘোনা থানাধীন পূর্ব কোদালা এলাকায় গত ১৪ জুন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে বান্দরবানের রাজবিলার বাসিন্দা চিংনুমং মারমা প্রকাশ মংওয়াচিং মারমা (২৭) নামের এক ব্যাক্তিকে বেধম মারধর করে অত্র থানাধীন রাইখালী ইউনিয়নের পূর্ব কোদালার বাসিন্দা মংসুইচিং মারমা, মংসাথোয়াই মারমা সহ আরো ৪ থেকে ৫ জন আসামী। এক পর্যায়ে ঘাতক মংসুইচিং মারমা একটি দা নিয়ে চিংনুমং এর ডানহাতের কব্জি পর্যন্ত কোপ দিয়ে কেটে ফেলে। শুধু তাই নয়, ওই ঘাতক আসামীরা তার হাত পা ধরে রাখে পরে শরীর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় চিংনুমং রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন হয়ে পড়লে আসামীরা তাকে সাহাবুদ্দিনের বাগানের পাশে রাস্তা ধারে ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ। এবং গুরুত্বর আহত হওয়া চিংনুমং মারমাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে চন্দ্রঘোনা মিশন হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্যরত চিকিৎসকরা রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নিয়ে যেতে বলেন।
উক্ত ঘটনাটি চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ সুপারকে জানানোর পর তাঁর দিক নির্দেশনায় ও সার্বিক সহযোগিতায় এবং ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরীর ব্যাক্তিগত আর্থিক সহযোগীতায় একটি এ্যাম্বুল্যান্স করে প্রয়োজনীয় পুলিশ স্কর্ট দিয়ে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেলে আহত ব্যাক্তিকে প্রেরণ করেন। এদিকে সংবাদটি প্রচারিত হওয়া পর্যন্ত এখনো আহত চিংনু মারমার কোন আত্মীয় কোন খবর নিতে আসেনি এবং এখনো তার চিকিৎসা সহ যাবতীয় সব খরচ বহন করেছে চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার। এদিকে গুরুত্বর জখম হওয়া চিংনু মারমার হাতের সফল অপারেশন এর পর সে কিছুটা সুস্থ হলে এঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২/৩ জনের নামে একটি মামলা চন্দ্রঘোনা থানায় রুজু করা হলে সোমবান ঘাতক দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে চন্দ্রঘোনা থানার এমন মানবিক কর্মকান্ড সুধীমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।