চাং পাং রেস্টুরেন্টের বৈধ মালিক প্রাণ নাশের হুমকিতে

299

 

॥স্টাফ রিপোর্টার ॥

পর্যটন শহর রাঙামাটির অদূরে পরিচালিত চাং পাং রেস্টুরেন্টের মালিক প্রাণ নাশের হুমকিতে দিনাতিপাত করছেন বলে অভিযোগ করেছেন। চাং পাং রেস্টুরেন্টের রেজিস্টার্ড মালিক পরেশ চাকমা জানান, তিনি ‘চাং পাং রেস্টুরেন্ট’ নামের প্রতিষ্ঠানটির রেজিস্টার্ড মালিক হলেও একই নাম ধারণ করে অন্য কেউ বর্তমানে একটি রেস্টুরেন্ট চালানোর কারণে তিনি জীবন নাশের হুমকিতে রয়েছেন।

তার মালিকানার স্বপক্ষে সরকারি বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও তার কাছ থেকে কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়েই চাং পাং নামে অন্য একজন রেস্টুরেন্ট চালানোর কারণে তিনি ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই তাদের বরাবরে একটি লিগাল নোটিশ পাঠান। এরপর মৌখিক ভাবেও তিনি প্রয়োজনে নাম পরিবর্তন করে বা নতুন নাম ধারণ করে তাদের রেস্টুরেন্ট চালানোর অনুরোধ জানান। কিন্তু তারা তার লিগাল নোটিশের কোনো জবাব দেননি অথবা নাম পরিবর্তন করে নেওয়ার বিষয়ে কোনো ধরণের সমঝোতায় না গিয়ে নানাভাবে তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তাকে আর্মির গোয়েন্দা আখ্যায়িত করে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছে বলে জানান তিনি।

পরেশ চাকমার দেওয়া কাগজপত্রে দেখা যায়, তিনি রাঙামাটি সদর উপজেলাধীন ৫৮ নং হাজারীবাক মৌজার আর-৫০ এর অধীন এক একর ভূমির বাণিজ্যিক কর নিয়মিত পরিশোধ করে আসছেন। কাগজপত্রে তার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নাম ‘চাং পাং রেস্টুরেন্ট’ এবং ঠিকানা: বালুখালী ইউনিয়নের অন্তর্গত ৫৮ নং হাজারীবাক মৌজা। বাণিজ্যিক কর পরিশোধ পত্রে তার পিতার নাম: জয়সেন চাকমা এবং জাতীয় পরিচয়ত্র নং স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। সেখানে উপজেলা ভূমি অফিসের সীল স্বাক্ষরও রয়েছে।

কিন্তু তার অনুমতি ছাড়াই- চাং পাং নাম ধারণ করে রেস্টুরেন্ট চালাচ্ছেন বলে জানান তিনি। পরেশ চাকমা লিগাল নোটিশ প্রেরণ ছাড়াও জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগও দাখিল করেছেন, সেখানে আগে অন্য কেউ রেস্টুরেন্টটি চালালেও তিনি এখন এই রেস্টুরেন্ট মালিক।

এদিকে এলাকায় তার নামে কে বা কারা- পরেশ চাকমা দলের লোক, সেনাবাহিনীর দালাল ইত্যাদি কথা বলে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে তার জীবন বিষিয়ে তুলেছেন। তিনি বর্তমানে সঙ্গীন অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন বলে জানান এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে একটি সুষ্ঠু সমাধান কামনা করেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বর্তমানে চাং পাং পরিচালনাকারীদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব না হওয়ায় শুধু বৈধ কগজপত্রের উপর এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়।