জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতেই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিলো: দীপংকর তালুকদার

361

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনগুলো। বুধবার সকাল ৯টায় রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি পুষ্পমাল্য অর্পণ ও আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় ও বেদনাবিধুর একটি দিন। রাষ্ট্রের হেফাজতে জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যার দিনটি ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে গতবারের মত এবারও জনসমাগম সীমিত করে জেলহত্যা দিবসের কর্মসূচি পালিত হয়। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো ধারণ করেছেন শোকের কালো ব্যাজ।

জেল হত্যা দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে খাদ্য মন্ত্রণালয় সস্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ কামাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, প্রচার সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রফিকুল মাওলা, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি জাহিদ আকতার, জেলা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ শামসুল আলম, মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোহিতা দেওয়ান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন প্রমূখ।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় সস্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বাঙালি জাতির ইতিহাসের এক ভয়াবহ কলঙ্কের দিন। স্বাধীনতা বিরোধীরা ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যার পর জাতিকে চিরতরে নেতৃত্বশূন্য করতে ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে জেল খানার ভেতরে নির্মমভাবে হত্যা করে। যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে দেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই চার সূর্য সন্তান দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস রচনায় যে অপরিসীম ভূমিকা রেখেছেন সেই ঋণ শোধ হবার নয়। আর এই ধরণের বর্বরোচিত হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তাই সব গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক ও অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে এক হয়ে উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মূলোৎপাটন করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর ৩ নভেম্বর তার ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারের অভ্যন্তকরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।