জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসকে কেন্দ্র করে জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের নানান কর্মসূচি

299

স্টাফ রিপোর্টার 

আজ ১৭ মার্চ শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী। ১৭ মার্চ দিনটি বাঙ্গালী জাতির কাছে অত্যন্ত আনন্দের একটি দিন। যেই নেতার জন্ম না হলে হয়তো স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বই  থাকতো না পৃথিবীর মানচিত্রে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন সফল রাষ্ট্রনায়কের পাশাপাশি শিশুদের কাছেও ছিলেন ভীষণ প্রিয় ব্যক্তিত্ব। শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুয়ার সব সময় উন্মুক্ত ছিল। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি শিশুদের কাছে পেলে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যেতেন। বঙ্গবন্ধু ভেবেছিলেন শিশুদের সুরক্ষায় পূর্ণাঙ্গ একটি আইন থাকা জরুরি। আর এই পথ ধরেই ১৯৭৪ সালের ২২ জুন জাতীয় শিশু আইন (চিলড্রেন অ্যাক্ট) প্রণয়ন করা হয়। হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনকেই তাই জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।

শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার কারনেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (১৯৯৬-২০০১) সালে প্রথমবারের মত সরকার গঠন করেই খ শ্রেণিভুক্ত করে ১৭ মার্চকে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করে। বর্তমানে দিনটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এবছর, ২০২৩ সালের জাতীয় শিশু দিবসের মূল প্রতিপাদ্য “স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙ্গিন।”

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অন্তরে ধারণ করেই উন্নত, সমৃদ্ধ একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে। দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য “জীবন” ও অঙ্গসংগঠন সমূহ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করেছে। রাঙামাটি সদর ও কাউখালী উপজেলায় শিশু সমাবেশ ও আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে সংগঠনের সদস্যদের সম্মিলিত উদ্যোগে। সকালে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার সাজিদ-বিন-জাহিদ (মিকি) এর নেতৃত্বে রাঙামাটি সদর উপজেলার ভেদভেদী এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। অতপর কাঠালতলী দারুস সালাম ইসলামিক একাডেমী হেফজখানা ও এতিমখানায় বঙ্গবন্ধুর জন্য বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করা হয়। মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মুফতি শামসুল আলম, অধ্যক্ষ হাফেজ মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীন, “জীবন” এর কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এই দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন।

কোমলমতি ছাত্রদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ শিক্ষা দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রচিত গ্রন্থ অবলম্বনে নির্মিত এ্যানিমেটেড চলচিত্র “মুজিব আমার পিতা” প্রদর্শন করা হয়। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন এখন থেকেই শিশুদের চোখে সমৃদ্ধ হোক। প্রদর্শনী শেষে এতিমখানার ছাত্রদের নিয়ে আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন “জীবন” এর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার সাজিদ-বিন-জাহিদ (মিকি)। তিনি বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা থেকে কৈশোর পর্যন্ত যত ন্যায্য দাবী আদায়ের সংগ্রাম তার উপর আলোকপাত করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন “অপরাজিতা” সংগঠনের সভাপতি সাইদা জান্নাত। তিনি বলেন, “আজকের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাও যদি মূল ধারায় ফিরে আসতে পারে তবে এদের মধ্যেও দেশ গঠনের জন্য কোন না কোন মুজিব দাঁড়াবে। ছোটকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা অন্তরে ধারণ করতে হবে। মাদ্রাসায় থেকে, দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ করেও বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সরকারের নানাবিধ পদক্ষেপ সত্যিই সম্ভাবনাময়। আরবী ভাষায় দখল থাকলে মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছে প্রচুর সম্ভাবনা এবং স্মার্ট বাংলাদেশে সবকিছুই হবে নির্বিঘ্নে”।

আজকের আয়োজনের সমন্বয়ক তামজিদা তাবাস্সুম বলেন, “জীবন সবসময়ই চেষ্টা করে যাচ্ছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে। আমরা আমাদের কোমলমতি শিশুদের স্মার্ট বাংলাদেশে একজন দক্ষ নেতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখতে চাই। বঙ্গবন্ধু যেমনিভাবে একটি সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে চেয়েছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবো ইনশা’আল্লাহ্”।

আজ রাঙামাটি সদর উপজেলার পাশাপাশি কাউখালী উপজেলাতেও সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত “জয় বাংলা”চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। কাউখালী উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা চৌধুরী, কাউখালী থানার অফিসার ইন চার্জ পারভেজ আলী ইমন এবং উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা।