জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্ট শহীদদের স্মরণে উন্নয়ন বোর্ডের নানা আয়োজন

319

॥ আলমগীর মানিক ॥

জাতির পিতা ও মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ জাতির জনক ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যবর্গের রূহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া এসব আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান আশিষ কুমার বড়–য়া, সদস্য বাস্তবায়ন হারুনুর রশিদ, নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, সহকারি প্রকৌশলী খোরশেদ আলমসহ উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ স্বতস্ফূর্তভাবে এসব কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।

উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, সকাল ৮.৩০টায় জাতীয় কর্মসূচির সাথে সমন্বয় রেখে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব নিখিল কুমার চাকমা এর নেতৃত্বে সদর উপজেলায় ও বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পনসহ ১ মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বেলা ৯.৪৫ ঘটিকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহ্ফিল’ এর আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। আলোচনা’র শুরুতে প্রথমে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন থেকে তেলাওয়াতসহ বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। বোর্ডের তথ্য অফিসার ডজী ত্রিপুরার উপস্থাপনায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বোর্ডের উপপরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন।

চেয়ারম্যান বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থাপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সপরিবারে নিহত সকল শাহাদত বরণকারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক রাষ্ট্র নায়ককে হত্যা করা হয়েছে। বিশেষ করে আমাদের পাশর্^বর্তী দেশ ভারতে এবং সবচেয়ে ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকাসহ অনেক রাষ্ট্র নায়ককে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে এমন নিষ্ঠুর ঘটনার নজির বোধ হয় পৃথিবীতে আর একটিও নেই। এমন নজির বিহীন ঘটনা যেটা কোন সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না মন্তব্য করে চেয়ারম্যান আরও বলেন, সেদিন কি দোষ করেছিল? বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ভাই শেখ আবু নাসের, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, পত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ছোট ছেলে শিশু শেখ রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হল? শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে হত্যাকারীদের হত্যাকান্ডের জন্য বিচার করা যাবে না, এরূপ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয় এবং খুনীদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পূর্ণবাসনের মাধ্যমে দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়, যা অত্যন্ত ঘৃন্য অপরাধ।

চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড জাতি পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূর চিন্তা প্রসূত রাষ্ট্র নায়কোচিত চিন্তার ফসল। আজ আমরা যেখানে সম্মানের সাথে অবস্থান করছি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে সেটা কখনো সম্ভব হতো না। এজন্য তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং শোককে শক্তিতে পরিণত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বোর্ডের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীকে একত্রিত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।