জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ঘিরে রাঙামাটিতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা

237

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন বৃদ্ধি ও নতুন মাছ উৎপাদনসহ মৎস্য চাষীদের সাবলম্বী করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দিয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন মৎস্য অধিদপ্তর আধুনিক চিন্তা ও সরকারি বিভিন্নমুখি প্রকল্প নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ।

শনিবার (২৩ জুলাই) রাঙামাটি জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এই মত ব্যক্ত করেন তারা। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবার মৎস্য সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াছিন, জেলা মৎস্য সম্পদ কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, বিএফডিসির রাঙামাটি ব্যবস্থাপক কমান্ডার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার আল হক, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ প্রমূখ।

আগামী কাল সোমবার থেকে মৎস্য সপ্তাহের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। সোমবার সকালে কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্তির পর খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির শুভ সূচনা করবেন। শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হওয়া কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এ সময় তিনি সুফলভোগীদের মাঝে মাছ চাষের উপকরণ বিতরণ করবেন। দ্বিতীয় দিন মৎস্য চাষীদের সাথে মতবিনিময় ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচি শেষ হবে ২৯ জুলাই আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে।

সাংবাদিকদের সাথে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধির জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাস মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে প্রায় ২২ হাজার ৯শত ৫২ জন বেকার জেলেকে সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে চাল বিতরণ করা হয়।

তাছাড়া তিন পার্বত্য জেলার ২৬টি উপজেলায় ক্রিক প্রকল্পের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ১১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। এসময় কর্মকর্তারা দেশের মিটা পানির মৎস্য ভান্ডার সংরক্ষণ করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।