॥ পাঠকের মত ॥
দূর্গম জুরাছড়ি উপজেলার চারটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখনো জাতীয় করণের আওতায় আসেনি। শিক্ষকেরা দীর্ঘ বছর যাবত নিঃস্বার্থ ভাবে বেতন ভাতাহীন করে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আশায় বুক বেঁেধে আছেন সরকার বিদ্যালয়গুলো বিদ্যমান শিক্ষকসহ জাতীয়করণের আওতায় নিয়ে আসবে এবং তাদের দীর্ঘ বছরের কষ্ট লাগব হবে।
ইউএনডিপি’র প্রকল্পের আওতায় যেসব বিদ্যালয়গুলো সরকারিকরণ করা হয়েছিল সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক লেখা পড়ার মান প্রত্যন্ত এলাকার অনুপাতে অনেকটা অগ্রসর। সেই দিক বিবেচনা করে প্রত্যন্ত অনগ্রসর এলাকায় বিদ্যালয়গুলো সরকারিকরণ করা হলে একদিকে শিক্ষকদের জীবিকা পথ সুগম হবে অন্যদিকে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে। এসব বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছিল ১৯৯১ থেকে ২০০৫ সালে বিদ্যালয় গুলো হচ্ছে চার নং দুমদুম্যা ইউনিয়নে বগাখালী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডানে তেছড়ি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বামে সুবলং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩ নং মৈদং ইউনিয়নে মোগাছড়ি মোন পাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রত্যেক বিদ্যালয়ে কিন্তু ছাত্রছাত্রী যথেষ্ট রয়েছেন, বিদ্যালয়গুলো জরাজীর্ণ হলেও ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষাদান দিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকেরা। বিদ্যালয় গুলো নতুনভাবে সংস্কার করার জন্য রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ কর্তৃক বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
বিগত সময়ে মাননীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি এসব বিদ্যালয় যেন জাতীয়করণের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় সে বিষয়ে একবার মহান জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেছিলেন। অনগ্রসর অঞ্চল হিসেবে মাননীয় মাননীয় পার্বত্য মন্ত্রী, স্থানীয় এমপি এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এসব বিদ্যালয়গুলোকে কিভাবে জাতীয়করণে অন্তর্ভুক্ত করা যায় তার জন্য সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সম্প্রতি জুরাছড়ি উপজেলা সদর থেকে দুমদুম্যা বগাখালী, বামে সুবলং, ডানে তেছড়ি হয়ে ঘুরে এসে এসব তথ্য চিত্র পাওয়া যায়। বগাখালী বেসরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক কৃষ্ণ লাল চাকমা সহ অত্র এলাকার অভিবাবকগণ শিক্ষক এবং ছাত্র ছাত্রীদের কষ্টের কথা গুলো তুলে ধরেন প্রতিবেদকের কাছে। জুরাছড়ি উপজেলার সবচেয়ে পশ্চাৎপদ এবং সকল ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছেন এসব এলাকার জনগণ তাই দূর্গমতার ছেলেমেয়েদের স্বার্থে বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের আওতায় আনা হোক এমনটাই প্রত্যাশা করি।