॥ জুরছাড়ি প্রতিনিধি ॥
দূর্গম এলাকার মানুষরা সচেতন হওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিতে এখন অনেকাংশে কমিউনিটি ক্লিনিক ও হাসপাতালমুখী হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় বর্তমানে দূর্গম এলাকার গর্ভবতি মায়েরা বাসায় ধাত্রী দিয়ে বাচ্চা প্রসব না করে এখন হাসপাতালে এসে প্রসব পূর্ববর্তী সেবাগ্রহণ ও পরবর্তিতে বাচ্চা প্রসব করাচ্ছে এবং এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এটি একটি জুরাছড়িবাসীর জন্য ভালো দিক।
বুধবার ৯ নভেম্বর সকালে জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্ত্যবে তিনি এসব কথা বলেন।
জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অনন্যা চাকমা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ দেলোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুনীল চাকমা, সহঃ স্বাস্থ্য পরিদর্শক প্রচারক চাকমা’সহ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা, মাঠকর্মী ও কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সুরেশ কুমার চাকমা বলেন, পাশর্^বর্তী উপজেলার কিছু সীমানা জুরাছড়ির কাছাকাছি হওয়ায় সেখানকার মানুষও এ উপজেলার ক্লিনিক ও হাসপাতালে এসে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করছে। স্বাস্থ্য বিভাগের যতটুকু জনবল ও যেসকল সীমিত সরঞ্জাম রয়েছে তা দিয়েই সেবা প্রদান করারও আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, আগামী ১৬ থেকে ১৮ নভেম্বর তিনদিনব্যাপী জুরাছড়ি শাখা বন বিহারে দেশের সর্ববৃহৎ সিংহশয্যাশায়ী ১২৬ ফুট দৈর্ঘ্য বুদ্ধমূর্তি উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং এ বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে। অনুষ্ঠানে হঠাৎ অসুস্থ হওয়া দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সুবিধার্থে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের হেলথ ক্যাম্প করারও আহ্বান জানান তিনি।