॥ স্মৃতিবিন্দু চাকমা ॥
‘আমাদের ছেলে-মেয়েদের মানুষের মত মানুষ করতে চাই’ কথাটি বলেন নন্দীছড়া গ্রামের বাসিন্দা সুবর্ণা চাকমা। রাঙামাটি পার্বত্য জেলাধীন দূর্গম জুরাছড়ি উপজেলা ১নং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে নন্দীছড়া গ্রামে ৭০ পরিবারের বসবাস। এরা সবাই জুমচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। নেই কোন বিদ্যালয়, তাই কষ্ট করে হলেও মানুষের মত মানুষ করতে চাই তাদের ছেলেমেয়েদের।
কথা হয় নন্দীছড়া গ্রামের বাসিন্দা বারত্যা চাকমা’র সঙ্গে তিনি জানান,২০১২ সালে বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক কর্তৃক একটি খন্ডখালিন প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। উক্ত প্রোগ্রাম ২০১৯ সাল পর্যন্ত চলমান থাকে। প্রোগাম শেষ হওয়াতে বর্তমানে এলাকাবাসীর স্ব উদ্যোগে ঘরোয়া দুইজন শিক্ষক দিয়ে তাদের ছেলেমেয়েদের অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জ্ঞানশ্বর চাকমা জানান, নন্দীছড়া এবং গন্দীছড়া এলাকায় ৫০ জনের অধিক ছেলেমেয়ে রয়েছে।পাশ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও আমাদের গ্রাম থেকে প্রত্যেক বিদ্যালয়ের দুরত্ব ৫ কিলোমিটার। তাই আমাদের ছেলেমেয়েদের মানুষ গড়ার জন্য অচিরেই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে দাবী করেন।
ইউপি সদস্য কিরণ কুমার চাকমা থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই গ্রাম নিয়ে ৭০ পরিবারের অধিক এদের বসবাস। এই এলাকার অনেক ছেলেমেয়ে রয়েছে, এলাকাবাসীর পক্ষথেকে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ বরাবর একটি দরখাস্ত করা হয়েছিল।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা জানান, নন্দিছড়া ও গন্দিছড়া এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য একটি দরখাস্ত পেয়েছি। তিনি আরো জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা বাংলাদেশে ১হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটি তালিকা চাওয়া হয়েছে। তাই উক্ত তালিকায় ১ নং জুরাছড়ি ইউনিয়নের নন্দীছড়া, দুমদুম্যা ইউনিয়নে বামে তেছড়ি, বগাখালী ও ২নং বনযোগীছড়া ইউনিয়নে হাল্যারাম পাড়া বিদ্যালয়হীন গ্রাম হিসেবে চিহ্নিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।