॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেছেন, জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশে তিনবছর মেয়াদি একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জেলাপ্রশাসন। পর্যায়ক্রমে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে জেলার পর্যটন শিল্পে নতুন দীগন্ত উন্মোচিত হতে হবে। তিনি বলেন, হতাশা নয় আমরা আশাবাদী হতে চাই এবং পর্যটন সম্ভাবনাময় রাঙামাটিকে দশনার্থীদের জন্য আকর্ষনীয় করে গড়ে তুলতে চাই। তবে এ জন্য সকল মহলেরর সহযোগীতা ও সমন্বিত উদ্যোগ থাকতে হবে। পর্যটন দিবস উপলক্ষে রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিসি মিজানুর রহমান এ কথা বলেন।
‘অন্তর্ভূক্তিমুলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন’ এই শ্লোাগানে এবার পর্যটন দিবস পালিত হয়। দিবসটি ঘিরে সোমবার (২৭ সেপ্টম্বর) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই আলোচনা সভা। এতে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খোকন্বেশর ত্রিপুরা। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম সোনিয়া, রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক ও পর্যংটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করতে এবং রাঙামাটিতে পর্যটক ধরে রাখতে সরকারি বেসরকারি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবার অংশগ্রহণ ছাড়া পর্যটন বিকশিত হতে পারবে না। স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করে রাঙামাটির পাহাড় লেককে কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু করা সম্ভব , এসব করতে নিরাপত্তার বিষয়টি আগে নিশ্চিত করতে হবে। সভায় রাঙামাটির হোটেল মোটেল মালিক, বেসরকারী উদ্যোক্তা, বোট মালিক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।