জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন

324

॥ শাহ আলম ॥

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শহীদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে রাঙামাটিতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করেছে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ। সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় দলীয় কার্যালেয়ে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমার সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও পার্বত চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য হাজী কামাল উদ্দিন ও বিশেষ অতিথি হিসেবে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জমির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ সভায় বক্তব্য রাখেন।

এসময় বক্তারা বলেন, আত্মস্বীকৃত খুনিরা তাকে (শেখ রাসেল) হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালোবাসার নাম। শহিদ শেখ রাসেল বাঙালির শৈশবের প্রতীক। প্রতিভাময় শিশুটি (শেখ রাসেল) ঝরে না পড়লে আজ তার ৫৮ বছর পূর্ণ হতো। দেশ-জাতিকে দেওয়ার এটাই হতো সেরা সময়। সবদিক থেকে পরিপক্কতা আসতো। জাতি তার সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। শেখ রাসেলের জীবনকাল খুব সংক্ষিপ্ত হলেও তিনি বাঙালি জাতির ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।

আলোচনা সভা শেষে মিলাদ, কিয়াম ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেখ রাসেলসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও জান্নাতুল ফেরদৌস কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল ও কেট কেটে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, ১৮ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের ‘বঙ্গবন্ধু ভবনে’ শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার ঘৃণ্য শত্রু খুনি-ঘাতক চক্রের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নরপিশাচরা নিষ্ঠুরভাবে শিশু রাসেলকেও হত্যা করেছিল। মৃত্যুকালে তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করতে ১১ বছরের শিশু রাসেলকে হত্যা করা হয়।