॥ এম.নাজিম উদ্দিন ॥
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেছেন,জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল বলেই আজ আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অপরিসীম। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীনতার পাশাপাশি বাংলাদেশ নামের একটি দেশ পেয়েছি। তাদের এই আতœত্যাগের মূল্য কিছুতেই শোধ হবেনা।
২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবসে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাঙামাটি জেলার পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের,পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজি মো.কামাল উদ্দিন,পরিষদের সদস্য অংশু ছাইন চৌধুরী,বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং পরিষদের সাবেক সদস্য মো.রুহুল আমীন বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম। এ সময় রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.শহীদুজ্জামান মহসীন রোমান,রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে সদস্য প্রর্বতক চাকমা,সদস্য বিপুল ত্রিপুরা,সদস্য বাদল চন্দ্র দে,সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমা,সদস্য ঝর্ণা খীসা,সদস্য দিপ্তীময় তালুকদার,সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী,সদস্য আসমা বেগম,সদস্য সবির কুমার চাকমা,সদস্য নিউচিং মারমা,সদস্য আব্দুর রহিম,সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়াসহ রাঙামাটির বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করার পর ভেদভেদিতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ম্যুরালে এবং বীরশ্রেষ্ট মুন্সী আবদুর রউফের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের ফুলের স্টিক দিয়ে বরণ করা হয়। পরে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৬জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে ৩ হাজার,৪৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ১হাজার ৫শত এবং ২৯জন মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকের মাঝে ১ হাজার ৫শত টাকার প্রাইজবন্ডসহ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রত্যেককে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।