টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে কাপ্তাইয়ে ১০পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত

107

॥ কাপ্তাই প্রতিনিধি ॥

অবিরাম বর্ষণে কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধসে ১০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোববার (৬ আগস্ট) ভোর বেলা পাহাড় ধসে ও গাছ পড়ে ২নং রাইখালী ৩নং ওয়ার্ডে ৮টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শনিবার (৫আগস্ট) দুপুরে কাপ্তাই কার্গোর নীচে পাহাড়ের একটি গাছ ধসে ঘরের ওপর পড়ে। এতে ঘরটি সম্পূর্ণ ভাবে বিধস্ত হয় খবর পাওয়া যায়। এছাড়া বড়ইছড়ি কাপ্তাই ক্লাবের পাশে অনিল তনচংগ্যা ও চিৎমরম শিড়িঘাট এলাকায় পাহাড় ধসে আরোও ২টি ঘর বিধস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে এই উপজেলায় অন্তত ৫শ’ পরিবার পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানান।

গত ৩/৪দিন যাবৎ লাগাতার বৃষ্টির ফলে পাহাড়ের পাদদেশে মৃত্য ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। রাইখালী ইউপি ৩নং ওয়ার্ড সদস্য এস এম নাছির উদ্দীন জানান রাইখালী রিফিউজি পাড়া,বড় ঝিরিপাড়া,ও রাইখালী বাজার এলাকায় পাহাড় ধসে টিুট,বট্র,জাহাঙ্গীর আলম,আজিম,আঃ রশীদ, হারুন ও নেজামের ৮টি ঘর পাহাড় ধসে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিষয়টি রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান মংখ্য মারমাকে অবগত করেছে বলে জানান। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মহিউদ্দিন জানান তিনি রাইখালীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর জেনেছেন তাদেরকে দ্রুত নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারিদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে বারবার মাইকিং ও সর্তক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৫টি ইউনিয়নে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তার মধ্যে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্ ৫৫ জন অবস্থান করছে। এছাড়া বাকীদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে প্রচারনা অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এবিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে কাপ্তাই উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসতে উপজেলা প্রশাসন ও কাপ্তাই তথ্য অফিস প্রতিনিয়ত প্রচারনা ও মাইকিং চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কাপ্তাইয়ের নতুন বাজার সংলগ্ন ঢাকাইয়া কলোনী এবং আফসারর টিলা নামক এই এলাকাগুলো পাহাড় ধসের বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় ৫৫ জন গত শুক্রবার থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে তাদের খাবার বিতরণও করা হয়েছে। এছাড়া অনান্য ইউনিয়নেও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি জানান।

শনিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া এর আগের দিন বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছিল ৯৪ মিলিমিটার। ২০১৭ সালে এমন টানাবর্ষণে পাহাড় ধসে এ উপজেলায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়।