ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র ছায়া সংসদে ড. হাছান মাহমুদ: রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে অতি উদ্বেগ কাম্য নয়

697

স্টাফ রিপোর্ট- ১১ মার্চ ২০১৭, দৈনিক রাঙামাটি (প্রেস বিজ্ঞপ্তি): প্রতিটি উন্নয়ন উদ্যোগের কিছু নেতিবাচক প্রভাব থাকে, তাই বলে উন্নয়ন থামিয়ে রাখা যায় না। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে কেউ কেউ পরিবেশের ক্ষতির আশংকা করলেও ঝুঁকি নিরসনে সর্বাধুনিক প্রযুিক্ত ব্যবহারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না । তাই এ নিয়ে  অতি  উদ্বেগ কাম্য নয়। সরকার সব সময়ই দেশের মঙ্গল চায় । দেশ এখন মধ্যম আ্েযয়র দেশে পরিণত হয়েছে। আর এই অগ্রগতি ধরে রাখতে হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। আজ ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক এক ছায়া সংসদে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ এ অভিমত ব্যাক্ত করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ।

ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, উত্তর আমেরিকা, জার্মানী ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বনাঞ্চলের পাশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে এবং সেখানে জীববৈচিত্র্যের কোন ক্ষতি হচ্ছে না। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার এবং গরম পানি রিসাইক্লিং ব্যবস্থার কারণে পরিবেশগত বিপর্যয়ের কোন ঝুঁকি নেই। তিনি বলেন, বৈশ্বিক যে রীতি আছে তাতে ১০ কি. মি দুরত্বে এ ধরনের প্রকল্প করা যেতে পারে। বাংলাদেশে এটি ১৪ কি.মি. দূরে। আর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ থেকে ৬৯ কি.মি দুরে। কয়লাবাহী জাহাজগুলো কভার্ড জাহাজ হবে তাই এতে বাতাস দূষণ হবে না। ফ্লাই এ্যাশগুলো কোন ক্ষতি করবে না। এ নিয়ে পরিবেশবিদসহ কারো যদি এখনও কোন সংশয় থাকে, তাদেরকে তিনি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনের আহবান জানান।

সভাপতির বক্ত্যব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সুন্দরবন শুধু আমাদের ঐতিহ্যই নয়, এটি বিশ্ব ঐতিহ্যও বটে। তাই এর সুরক্ষা আমাদের দায়িত্ব। অন্যদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনও দেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত জরুরী। এ কারণেই পরিবেশ সুরক্ষা ও বিদ্যুৎ উৎপাদন-দুটো বিষয় নিয়েই আমাদের সমানভাবে ভাবতে হবে। সুন্দরবনের ক্ষতি হোক তা যেমন আমরা চাই না, তেমনি দেশের উন্নয়নের চালিকা শক্তি বিদ্যুৎ-এর ঘাটতি হোক তাও আমরা চাই না। তিনি টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে সরকারকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে আরো সুক্ষ ও নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আহবান জানান। প্রয়োজনে এ বিষয়ে জনমত যাচাইয়ের জন্য সংবিধান সংশোধন করে গণভোট করা যেতে পারে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
প্রতিযোগিতায় গ্রীণ ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে পরাজিত করে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, রোকেয়া পারভিন জুঁই ও ড. এস এম মোর্শেদ। অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান খানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান, দৈনিক রাঙামাটি।