তিন জেলার পাড়াকেন্দ্রে একযোগে ১০ লক্ষাধিক মানুষকে কৃমিনাশক প্রদান

459

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
ব্যাপকভিত্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে সোমবার সম্পন্ন হয়েছে কৃমিনাশক বড়ি সেবন ক্যাম্পেইন। তিন পার্বত্য জেলার ১২১টি ইউনিয়নের ৪৫০০ পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে একযোগে ১০ লক্ষাধিকপ্রকল্পের উপকারভোগী জনগোষ্ঠীকে কৃমিনাশক বড়ি সেবন করানো হয়।

জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগীতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবা প্রকল্পকর্মসূচীটি বাস্তবায়ন করে।প্রকল্পেরআওতাধীন পাড়াকর্মীদের মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকার ৫ বছর বয়স উর্ধ্ধ শিশু, কিশোর ও নারী-পুরূষকে ক্যাম্পেইনেরআওতায় কৃমিনাশক বড়ি প্রদান করা হয়েছে।

গতকাল সকাল ১১ টায় জুম সংযোগের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনসংখ্যা পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর ডাঃ এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, এছাড়াও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জুম প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বান্দরবান জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ অংসুইপ্রু মারমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য সবীর কুমার চাকমা, কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুদ্দোহা চৌধুরী।

টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ এয়াছিনুল হক এর সঞ্চালনায় এবংপার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আলম নিজামী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী। কর্মসূচীর উদ্দেশ্য, প্রয়োজনীয়তা এবং কৃমিনাশক বড়ি সেবনের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন ইউনিসেফের নিউট্রেশন অফিসার ড: উবাসুই চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কৃমির কারণে এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠির এক ব্যাপক অংশ অপুষ্টির শিকার। বিশেষত শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা চক্রাকার অপুষ্টির আবর্তে থাকায় তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, রক্তশূণ্যতা এবং মেধাশূণ্যতার আশংকা বিদ্যমান। সুস্থ, সবল ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে পিছিয়ে পড়া পার্বত্যঞ্চলে এই বিশেষ কর্মসূচীটি গ্রহণ করা হয়েছে।