দীঘিনালায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যকে ব্লাক মেইলের অভিযোগ

88

॥ দীঘিনালা প্রতিনিধি ॥

জেলার দীঘিনালায় অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যকে হয়রানীর অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী সেনাসদস্য ও তাঁর পরিবার। গতকাল (বুধবার) দুপুরে উপজেলার বাসটার্মিনাল সংলগ্ন হোটেল ইউনিটির হলরুমে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়।

সম্মেলনে ছোটমেরুং এলাকার ভূক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ল্যাঃ কর্পোরাল মো. নুর আলমের সাথে তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যে কিশোর গ্যাং এর মাধ্যমে সেনা সদস্যকে ব্লাকমেইল করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয় মেরুং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রহমান কবীর রতন ও ৫নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. হোসেনের বিরুদ্ধে। এর সাথে সাবেক মেম্বার আব্দুর রহমান জড়িত বলেও অভিযোগ করা হয়।

সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, ছোটমেরুং একটি কিশোর গ্যাং রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে অনিক, রিয়াদ, হযরত, রাজু, শাহানবী এবং সুজন। প্রত্যেকেই ভূক্তভোগী সেনাসদস্যের ছেলের সমবয়সী, এরা সবাই নেশা করে। যার কারণে তিনি নিজের ছেলের কথা চিন্তা করে কিশোর গ্যাং এর কার্যকলাপ জানিয়ে তাদের বাবাদের সতর্ক করেন তিনি। আর এ কারনেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে কিশোর গ্যাং গ্রুপটি। এদের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান রহমান কবীর রতনের ভাতিজা হলো রিয়াদ।

এই কিশোররা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে নদীর তীরে ডেকে নিয়ে মারধোর করে এবং পরবর্তীতে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি তনি থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। থানা পুলিশ কিশোরদের আটক করে নিয়ে আসার সময় স্থানীয় মেম্বার হোসেন কিশোরদের বিচার করে সুধরানোর সুযোগ চেয়ে নিজ জিম্মায় রাখেন। কিন্তু কিশোরদের কোন বিচার না করে ঘটনার ৫দিন পর রহমান কবীর রতন এবং মেম্বার হোসেন এক কিশোরকে দিয়ে বলাৎকারের নাটক সাজায়। এমনকি এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই কিশোরের স্কুল শিক্ষার্থী এবং এলাকার লোকজন দিয়ে বলাৎকারের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করা হবে বলেও হুমকি দিয়ে টাকা দাবী করে। মানষীক হয়রানীর শিকার হয়ে মান সম্মানের কথা চিন্তা করে তাদের ব্লাক মেইলের ফাঁদ থেকে বাঁচতে টাকা দেওয়া হয় তাদের । এভাবে তারা ১লাখ ৩৫ হাজার টাকা নিয়েছে; তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে এখনো বিভিন্নজনের কথা বলে টাকা দাবী করছে।

নুর আলম আরো জানান, ১৯৯৯সালে চাকুরীতে যোগদান করে ২০২১সালের ফেব্রুয়ালীতে অবসরে আসেন তিনি। চাকুরী জীবনে তিনি সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে বড় ছেলে এইচএসসিতে অধ্যয়নরত এবং ছোট ছেলে নবম শ্রেণীতে। এখন স্থানীয় কিশোর গ্যাং এবং কয়েক অর্থলোভী নেতার সাজানো নাটকের কারণে তাঁর পরিবার লোকলজ্জায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছেনা।

সম্মেলনে নুর আলমের স্ত্রী এবং সন্তানেরা কান্নাজড়িত কন্ঠে সাজানো ঘটনার বিচার দাবী করে তাদের থেকে নেওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার আবেদন জানান।