স্টাফ রিপোর্টার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি: আদালত অবমাননার অভিযোগে দুই মন্ত্রির শাস্তি হলেও তারা মন্ত্রি পরিষদ থেকে বাদ পড়বেন না। সরকার তাদেরকে মন্ত্রি পরিষদে রেখতে চাইছেন। তাদের দুইজনের মন্ত্রণালয়ও পরিবর্তন করার কোন পরিকল্পনাও সরকারের নেই । সর্বোচ্চ আদালত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রি আ ক ম মোজাম্মেল হক ও খাদ্যমন্ত্রি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে আদালত অবমাননার দায়ে অর্থ দন্ড দেন। অনাদায়ে কারাদন্ড দেন। তবে তারা অর্থদন্ড পরিশোধ করেছেন এবং আদালতে ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন। এই অবস্থায় তারা মন্ত্রি পরিষদের সদস্য পদে থাকতে পারেন না। পদত্যাগ করা উচিত বলেও নানা দিক থেকে যে কথা উঠেছে তা অতি কথন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আইনমন্ত্রি অ্যাডভোকেট আনিসুল হক সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করেছেন। তিনি তা পর্যালোচনা করে প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনাকেও আইনী ব্যাখ্যা ও মতামত দিয়েছেন। তাকে জানিয়েছেন আদালত যে রায় দিয়েছে এই রায় নিয়ে বিচারপতিদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। আর দ্বিধাবিভক্ত রায় হয়েছে। রায় পর্যালোচনা করে দেখা গেছে তাদের মন্ত্রির পদে থাকতে কোন বাঁধা নেই। তাদের ব্যাপারে আপাতত সরকার থেকে কোন উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
সূত্র জানায়, আইনমন্ত্রির মতামতের উপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রি তাদের ব্যাপারে কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এই কারণে তারা এখন যেমন আছেন, তেমনি থাকবেন।
এদিকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিও রায়ের বিষয় নিয়ে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তারাও তাকে এখন কোন ধরণের পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে মত দিয়েছেন। এই কারণে তিনিও আপাতত কোন কিছু করবেন না। যেমন আছেন তেমনটি থাকবেন।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী তাদের ক্ষমতা থেকে কেন সরানো হবে না এই ব্যাপারে আদালতে রিট আবেদন করেছেন।
সূত্র জানায়, দুই মন্ত্রি অপেক্ষা করছেন ওই রিটের ব্যাপারে আদালত কি রায় দেয় তা দেখার জন্য। রিটের আদেশের পর তারা চিন্তা করবেন পরবর্তী করণীয় নিয়ে।
আইনমন্ত্রি অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, দুই মন্ত্রির পদে থাকতে কোন সমস্যা নেই। তাদেরকে পদত্যাগও করতে হবে না। আর সরকারকেও তাদেরকে বাদ দিতে হবে না।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান। সূত্র, অন্য মিডিয়া