॥ অসিম চাকমা ॥
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদুর প্রসারি দৃষ্টিভঙ্গির কারণে দুর্গম পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোও এখন সড়ক যোগাযোগের আওতায় এসেছে বলে মন্তব্য করে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, কারিগর পাড়া হতে বিলাইছড়ি পর্যন্ত ৪০ কিঃ মিঃ সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে পাহাড়ের পর্যটন শিল্পের বিকাশে দারুণ উত্তরণ ঘটবে।
রোববার দুপুরে রাঙামাটির দুর্গম বিলাইছড়ি উপজেলায় ৩৩৮ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন কাপ্তাইয়ের কারিগর পাড়া ও বিলাইছড়ি পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প ও ১১টি সেতু নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলী শফি আহমেদ, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, বিলাইছড়ি জোনের ক্যাপ্টেন বিপুল কান্তি পাল, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য অভিলাষ তঞ্চঙ্গ্যা, বিলইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ১নং বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান, ২নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রামাচরণ মার্মা (রাসেল), ৩নং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা, ৪নং বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতুমং মার্মাসহ জনপ্রতিনিধি, নেতা ও নেতৃবৃন্দরা।
উল্লেখ্য- রাঙামাটি জেলা এলজিইডি জানিয়েছেন, ৪০ কিঃ মিঃ সড়কের মধ্যে ৩১ কিঃ মিঃ কাপ্তাই অংশে এবং ৯ কিঃ মিঃ বিলাইছড়ি উপজেলার অংশে পড়েছে। অধিকাংশ পথই উঁচু নীঁচু পাহাড় বেষ্টিত। সড়কটিতে ১১টি সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৭টি কাপ্তাই উপজেলা অংশে এবং ৪টি বিলাইছড়ি উপজেলা অংশে নির্মাণ করা হবে। বিলাইছড়ি অংশে প্রতিটি ব্রিজ হবে ৪শত মিটার দৈর্ঘ্যরে।
গত ৪ মে একনেকের সভায় গণভবন হতে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের অনুমোদন করেন। ৩৩৮ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয় সাপেক্ষ এ প্রকল্পটিসরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করছে। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী- এই বিশাল কর্মযজ্ঞে শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জনগণ, প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।