॥ স্মৃতিবিন্দু চাকমা ॥
রাঙামাটি জেলার দুর্গম এলাকাগুলোর মাছের চাহিদা পুরণে পাহাড়ি ঘোনায় পুকুর তৈরির মাধ্যমে মাছ চাষের উদ্যোগ নিচ্ছে জেলা মৎস্য বিভাব। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি চাকমাসহ বেশ কয়েকজন সরকারি বিভাগের কর্মকর্তা মৈদং এবং দুমদুম্যা ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা সফর করেন। সফরের সময় যাদের নিজস্ব অর্থায়নে করা মৎস্য পুকুর রয়েছে সেগুলো পরিদর্শন এবং পরামর্শমূলক দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি মৎস্য পুকুর আরো বাড়ানোর লক্ষ্যে এলাকার জনসাধরণকে উৎসাহিত করা হয়।
কর্মকর্তারা জানান, রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই লেক মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। কাপ্তাই হ্রদের মাছ কপালে জোটেনা জেলা অনেক উপজেলার দূর্গম অঞ্চলে। যেখানে নেই প্রয়োজনমত মৎস্য পুকুর, তারা অনেকের মাছ থেকে বঞ্চিত থাকেন। মাঝে মধ্যে এসব এলাকায় হাঁটে পাওয়া যায় সামুদ্রিক মাছ। মাছের চাহিদা পুরণের লক্ষ্যে প্রয়োজন মৎস্য পুকুর বৃদ্ধি করা।
যোগাযোগের সুব্যবস্থা না থাকায় এসব দূর্গম এলাকায় মাছের পোনা দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও সম্ভবহীন হয়ে থাকে, তবুও যাদের পুকুর রয়েছে তাদেরকে মৎস্য বাঁধগুলো সংস্কার করার লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে প্রস্তাবনা পাঠাবেন বলে জানান মৃনাল কান্তি চাকমা।
তিনি আরো জানান,বর্তমান সরকার মৎস্যচাষ উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্তরের কয়েকটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে,ঐসব প্রকল্পগুলো কার্যক্রম শুরু হলে দূর্গম এলাকায় সরকারি অর্থায়নে কিছু পুকুর বৃদ্ধিকরণ করা যাবে এমনতাই আশা প্রকাশ করেন।
সফরকালে উক্ত এলাকার জনসাধরণ এসব কর্মকর্তাদের পরামর্শমূলক দিক নির্দেশনা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে একজন মৈদং ইউনিয়নের মুগাছড়ি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হরিসচন্দ্র চাকমা তার নিজস্ব অর্থায়ন ৪লক্ষ টাকা ব্যায়ে করা পুকুরে বর্তমানে প্রতিটি মাছের ওজন প্রায় ২ কেজি মত রয়েছে।
এবছর বর্ষার ঝিড়িঁর পানির বৃদ্ধি কারণে তার বাঁধটি কিছুতা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাঁধটি সরকারিভাবে সংস্কার করা হলে ভবিষ্যতে তার পুকুর থেকে মৈদং এবং দুমদুম্যা ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় মাছের চাহিদা মেটাতে পারবেন বলে জানান।