দেশপ্রেমিক ও দল-নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে পার্বত্য জেলাপরিষদ গঠন করা হবে

49

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, আমরা প্রচলিত ও চলে আসা ধারার বাইরে গিয়ে নতুন ধারায় দেশ গঠন করতে চাই। পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হবে না। সারাদেশের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামেও বৈষম্যমুক্ত পরিবেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এই লক্ষ্যেই দেশপ্রেমিক ও দল-নিরপেক্ষ এবং এলাকার উন্নয়নে নিবেদিত এমন সক্ষম ব্যক্তিদের নিয়ে তিন পার্বত্য জেলাপরিষদ গঠন করা হবে।

শনিবার (২৪ আগস্ট) রাঙামাটি জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সুশীল সমাজ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অতীতে যা ঘটেছে তা পরিহার করে মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নয়ন, অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধ করে স্বচ্ছতা ও সবার মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়নের ধারা গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, আমরা গুড গভর্ন্যান্স গড়ে তুলতে চাই। এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন চাই। পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আমরা সকল কাজ মিলেমিশে করবো। সবাই একসাথে আছি, একসাথে থাকবো। তিনি বলেন, আমরা এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যথাযথ ভূমিকা রাখতে চাই। সকল ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সাথে মিলেমিশে ভাই ভাই হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চাই।

তিনি বলেন, আমি আজ এসেছি শুধু পাহাড়ের মানুষের সাথে দেখা করে তাদের কথা শুনতে, এবারের মূল উদ্দেশ্য নিরপেক্ষ জেলা পরিষদ গঠন। আগামী দিনে আমরা সবার সাথে কথা বলে কাপ্তাই হ্রদের উন্নয়ন, শিক্ষার উন্নয়ন এবং জেলাবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কাজ করবো। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, আমি একজন নাগরিক হিসেবে দেশ ও জাতির কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়েছি, নতুন করে আমার আর কিছু চাওয়া পাওয়ার নেই। উপদেষ্টা পদের জন্য আমাকে মনোনীত করা হয়েছে, জনগণ না চাইলে আমি যে কোনো মূহুর্তে পদ ছেড়ে দিতে প্রস্তুত আছি।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, কাজী নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা, সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, টুকু তালুকদার ও সুনীল কান্তি দে প্রমুখ।